This Article is From Dec 09, 2019

ফের আগুন দিল্লির বহুতলে, রবিবার এই বহুতলেই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ৪৩ জনের

প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, রানি ঝাঁসি রোডের জনবহুল এই আনাজ মাণ্ডিতে এই বহুতলটি যথাযথ ছাড়পত্র ছাড়াই তৈরি হয়েছিল

ফের আগুন দিল্লির বহুতলে, রবিবার এই বহুতলেই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ৪৩ জনের

Delhi fire: রবিবার যে বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৩ জন মারা গেছিলেন, সেখানেই ফের আগুন

হাইলাইটস

  • সোমবার ফের অগ্নিকাণ্ড দিল্লির বহুতলে
  • ওই বহুতলে রবিবারও আগুন লাগে, মৃত্যু হয় ৪৩ জনের
  • মৃতের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার
নয়া দিল্লি:

উত্তর দিল্লির একই বহুতলে ফের আগুন (Delhi Fire)। এই বহুতলেই রবিবার বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হয়ে ছিল কমপক্ষে ৪৩ জনের, যার মধ্যে বেশিরভাগই শ্রমিক। ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, রানি ঝাঁসি রোডের জনবহুল এই আনাজ মাণ্ডিতে (Anaj Mandi) এই বহুতলটি যথাযথ ছাড়পত্র ছাড়াই তৈরি হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই বহুতলের দুই মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তবে রবিবারের পর সোমবার ফের একই বহুতলে আগুন দেখা যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ালেও দমকলের তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন দমকলের আধিকারিকরা। ওই বহুতল থেকে ফের ধোঁয়া বের হতে দেখেই সঙ্গে সঙ্গে দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়।

তবে রবিবার এই ভবনটিতেই বিধ্বংসী আগুনের লেলিহান শিখা ছাড়খার করে দেয় অনেক কিছু, কেড়ে নেয় অনেকগুলি প্রাণ। ওই দিন ভোর হওয়ার ঠিক আগেই সেখানে আগুন লেগে যাওয়ায় বহুতলের মধ্যে থাকা শ্রমিকরা আর বেরোনোর সুযোগ পাননি, কেননা সেই সময় তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। ফলে আগুনের গ্রাসে চিরঘুমে চলে যান তাঁরা।

ওই শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেরই আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রানি ঝাঁসি রোডের আনজ মাণ্ডির জনবহুল এলাকায় অবস্থিত ওই বহুতলটির অগ্নিকাণ্ড থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না বলেই জানা গেছে।আর রবিবার যে সময় ওই বহুতলে আগুন ধরে সেই সময় শ্রমিকরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন, ফলে তাঁরা পালানোরও সুযোগ পাননি।

রাজধানী অগ্নিকাণ্ডে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, কমপক্ষে মৃত ৪৩

দমকল বিভাগের আধকারিকরা অনুমান করছেন যে শর্ট সার্কিট থেকেই ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। পাশাপাশি ওই বহুতলের কাছাকাছি পৌঁছনোর রাস্তাগুলি এতটাই সংকীর্ণ যে দমকলের ইঞ্জিনগুলির সেখানে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়েছে। 

রবিবার তখনও ভালো করে ঘুম ভাঙেনি দিল্লির। আচমকাই আগুনের তাপে আর চিৎকারে ঘুম ভাঙে কিছু ঘুমন্ত মানুষের। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা আগুনের বলয়ে বন্দি। দাউদাউ করে জ্বলছে ওই বহুতলে থাকা গোটা কারখানা। দমকল কর্মীদের তৎপরতায় কমপক্ষে ৫০ জনকে আগুনের গ্রাস থেকে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হলেও বাকিরা জীবন্ত দগ্ধ হয়েই মারা যান ঘটনাস্থলে।

‘সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে'', মৃত্যুর আগে শ্রমিকের শেষ ফোনে সেই চিরকালীন ইচ্ছে

এদিকে ওই অগ্নিকাণ্ডে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি তরফে।

দেখে নিন এই ভিডিও:

.