পৃথিবীর একেবারে কাছে চাঁদের কক্ষপথ চলে এলে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে ওঠে ‘সুপার মুন’।
হাইলাইটস
- আগামী রবিবার আকাশে দেখা দেবে প্রথম ‘সুপার মুন’
- ভারতীয় সময় দুপুর ১.০৩ মিনিটে ‘সুপার মুন’-কে দেখা যাবে
- ফলে ভারত থেকে দেখতে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই
২০২০ সালের প্রথম ‘সুপার মুন' (First Supermoon of 2020) আকাশে উদিত হবে এই সপ্তাহের শেষেই। ফেব্রুয়ারিতে এই ‘সুপার মুন' (Supermoon) দেখা গেলে তাকে নানা নামে ডাকা হয়। ‘স্নো মুন', ‘স্টর্ম মুন', ‘হাঙ্গার মুন', ‘মঘা পূর্ণিমা', ‘মঘা পূজা' ইত্যাদি নানা নামে সম্ভাষিত করা হয় এই বিশেষ চেহারার চাঁদকে। চিনে চন্দ্র উৎসবও এই সময়েই হয়। আপনি আপনার টেলিস্কোপটি তৈরি করে রাখুন। আকাশে চোখ রেখে এই অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্যের সাক্ষী হওয়ার জন্য। তবে যদি কোনও ভাবে এই ‘সুপার মুন' দর্শন ফসকে যায়, তাহলেও মন খারাপ করার কিছু নেই। কেননা মাসখানেক পরেই আবার সুযোগ মিলবে।
‘সুপার মুন' কী এবং পূর্ণ চন্দ্রের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়
পৃথিবীর একেবারে কাছে চাঁদের কক্ষপথ চলে এলে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে ওঠে ‘সুপার মুন'। এই মাসের পরের মাসেই আবারও দেখা মিলবে এর। ৯ মার্চ আকাশে দেখা যাবে এই চাঁদকে। এরপর ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেখা যাবে ‘সুপার মুন'-কে।
বছরের প্রথম ‘সুপার মুন' কবে এবং ভারত থেকে কি দেখা যাবে?
নাসা জানাচ্ছে, শুক্রবার থেকেই আকাশে চাঁদকে দেখা যাবে উজ্জ্বল ও বড় আকারে। সেই আকার বাড়তে বাড়তে পূর্ণ আকার ধারণ করবে আগামী রবিবার। ভারতীয় সময় দুপুর ১.০৩ মিনিটে ‘সুপার মুন'-কে দেখা যাবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ভারত থেকে এই চাঁদ দেখা যাবে না।
কী করে দেখা সম্ভব ২০২০-র প্রথম ‘সুপার মুন'
যেহেতু ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুরবেলায় ‘সুপার মুন' দেখা যাবে, তাই ভারত থেকে তা দেখার উপায় নেই স্বাভাবিক ভাবেই। তবে কিছু অনলাইন ওয়েবসাইটে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে চোখ রাখতে পারেন। irtual Telescope Project 2.0-তে দেখা যাবে ‘লাইভ'। এছাড়া টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশে চোখ রাখলে দেখা যাবে ‘সুপার মুন'-কে। প্রসঙ্গত, এই চাঁদ খালি চোখে দেখায় কোনও বাধা নেই।