Read in English
This Article is From Nov 22, 2018

আন্দামানের সংরক্ষিত দ্বীপে যেতে মৎস্যজীবীদের ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন মৃত পর্যটক

আন্দামানে আগেও আসার সূত্রে অ্যালেকজান্ডার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে  বন্ধুত্ব হয় জনের। জনের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে  যোগাযোগ করে খবর দেন অ্যালেকজান্ডারই

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ডিজিপি এনডিটিভিকে জানিয়েছেন ওই দ্বীপ থেকে ৫০০ মিটার  দূরে নেমে  যান জন।

Highlights

  • সংরক্ষিত দ্বীপে যেতে মৎস্যজীবীদের ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন জন
  • দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশ্বের অন্য প্রান্তের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই
  • চেন্নাইয়ের মার্কিন দূতাবাস খোঁজ খবর শুরু করেছে
পোর্ট ব্লেয়ার / নিউ দিল্লি :

আন্দামানে  মৃত মার্কিন নাগরিক আন্দমানের সংরক্ষিত দ্বীপে যেতে মৎস্যজীবীদের ২৫ হাজার টাকা  দিয়েছিলেন। সেন্টিনেল দ্বীপেই তাঁর মৃত্যু  হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে  চেন্নাইয়ের মার্কিন  দূতাবাস খোঁজ খবর শুরু করেছে। দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছে মার্কিন নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার খবর আমরা জানি। সেই মতো কাজ  শুরু হয়ে গিয়েছে। এই দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশ্বের অন্য প্রান্তের কোনও যোগাযোগ নেই। সেখানেই গিয়েছিলেন জন। আন্দামানের ডিজিপি নরেন্দ্র পাঠক  এনডিটিভিকে  জানিয়েছেন ওই দ্বীপ থেকে ৫০০ মিটার  দূরে নেমে  যান জন।

 

সেন্টিনেল দ্বীপে প্রাণ হারিয়েছেন মার্কিন নাগরিক, সেখানকার আদিবাসীদের সম্পর্কে দশটি তথ্য রইল

Advertisement

 

 

 সেখান থেকে ছোট  জল যানের সাহয্যে রওনা দেন  দ্বীপের দিকে। দূর থেকেই  মৎস্যজীবীরা দেখতে পান জনের উপর তীরের  সাহায্যে আক্রমণ করা  হচ্ছে। তবু  তিনি  হাঁটছেন।  মৎস্যজীবীদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে  মার্কিন নাগরিক একবার দ্বীপে যাওয়ার পর ফিরেও আসেন। তখন তাঁর  শরীরে কয়েকটি আঘাতের  চিহ্ন ছিল। তবে সেগুলি  মারাত্মক কিছু নয়। মৎস্যজীবীদের  দাবি  তাঁদের ডিঙ্গিতে ফিরে  আসার পর আবারও নিজের জলযান  নিয়ে বেরিয়ে পড়েন জন। এরপর আর ফিরে আসেননি। পরদিন মানে  ১৭ নভেম্বর ভোরে দ্বীপের একটি দেহ দেখতে  পান তাঁরা । সেটিই সঙ্গে  জনের চেহারার মিল ছিল।

Advertisement

          

  'টি শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করেছি, পুলিশকে জানাল দিল্লির ২০ বছরের যুবক

Advertisement

আন্দামানে আগেও আসার সূত্রে অ্যালেকজান্ডার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে  বন্ধুত্ব হয় জনের। জনের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে  যোগাযোগ করে খবর দেন অ্যালেকজান্ডারই। আর পরিবারের তরফে চেন্নাইয়ের মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে  যোগাযোগ  করা হয়। এই সোমবার থেকেই  খবর ছিল মার্কিন দূতাবাসের কাছে।  

এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর একটি নিয়ম  ফিরিয়ে আনার কথা  ঘোষণা করে দেয় পুলিশ। ১৯৫৬ সালের  একটি আইনের কথা উল্লেখ  করে ডিজিপি জানান ওই দ্বীপে যাওয়া  নিষিদ্ধ। আগেও তাই ছিল। কিন্তু এ বছরের গোড়ায় নিয়মে  কিছু রদবদল হয়। কিন্তু এবার আবার  পুরনো নিয়ম ফিরে এলো। তবে পর্যটকের ওই দ্বীপে যাওয়ার নেপথ্যে  নিরাপত্তায়  গাফিলতির কথা  মানতে  চাননি  ডিজি। তিনি জানান মৎস্যজীবী এবং জন এমন ভান করেছিলেন যেন  তাঁরা  মাছ  ধরছেন।                               

Advertisement