This Article is From Jul 21, 2019

সীমান্তে জলপথে বাড়ছে গরুপাচার, রুখতে পদক্ষেপ করল বিএসএফ

বিএসএফ (BSF) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে পরিমাণ গরু পাচার (Cattle Smuggling) হয়, তার এক তৃতীয়াংশ গবাদি পশু আটক করা গিয়েছে।

সীমান্তে জলপথে বাড়ছে গরুপাচার, রুখতে পদক্ষেপ করল বিএসএফ

পুলিশ ও বিএসএফের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই জলপথে গরু পাচার (Cattle Smuggling)।

নয়াদিল্লি:

বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর, এ রাজ্য থেকে গরুপাচারের (Cattle Smuggling) সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, ফলে গবাদি পশু পাচার রুখতে এবার পদক্ষেপ করল বিএসএফ (BSF)। দুই বাংলার সীমান্তে গরু পাচার রুখতে সীমান্ত বেশী জওয়ান মোতায়েন করার পাশাপাশি জলপথে অতিরিক্ত বোট নামানোসহ নানান পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বিএসএফের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “সীমান্ত বরাবর জলপথে কয়েকশো গরু পাচার (Cattle Smuggling) হচ্ছে। আমরা অনেক গরু আটকেছি, যেগুলির গলায় কলা গাছ বেঁধে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে বাংলাদেশ সীমান্তের পাচারাকীররা সহজেই সেগুলি নিয়ে নিতে পারে”। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ১,২০০ গরু এবং মোষ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। বকরিদের কারণে, প্রতিটি গরু এবং মোষের দাম ৮০,০০০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বেধড়ক মারধরের পর ২৪ জনকে গায়ের জোরে বলানো হল 'গো মাতা কি জয়'!

বিএসএফ (BSF) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যে পরিমাণ গরু পাচার (Cow Smuggling) হয়, তার এক তৃতীয়াংশ গবাদি পশু আটক করা গিয়েছে। সেই কারণেই সীমান্ত অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন, মোটর বোটের সংখ্যা বাড়ানো এবং গরু পাচার রুখতে এবং নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়েছে বাহিনীর তরফে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গরু পাচারের (Cow Smuggling) এই বাড়াবাড়ন্তে সীমান্তে পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানদের প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রাণঘাতি নয়, এমনই হাতিয়ারই ব্যবহার করছন জওয়ানরা।

গত কয়েক সপ্তাহে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ জন বিএসএফ (BSF) জওয়ান পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।  উত্তর ২৪ পরগনার আঙ্গরাইল ফাঁড়িতে, মধ্যরাতে পাচারকারীদের ছোড়া বোমায় হাত খোয়া গিয়েছে এক জওয়ানের।

হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়াতেই মৃত্যু রাকবরেরঃ রাজস্থানের পুলিশমন্ত্রী

বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জওয়ানদের আগ্রাসিভাবে থাকতে বলা হয়েছে, এবং যাতে গরু পাচারের (Cattle Smuggling) সংখ্যা কমানো যায়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাচারের ওপর নজরদারির জন্য বাহিনীর জওয়ানদের অ্যাডিশনাল থার্মাল ইমেজার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

পশ্চিমবঙ্গের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারে বিভক্ত। সর্বমোট ৪,০৯৬ কিলোমিটারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের রয়েছে ৯১৫ কিলোমিটার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিদিন রাতে পাহাঘাটি, ফুলতলা, লালপুর, ধানগ্রা, ধুলিয়ান, ছোটোশিবপুর, বড়শিবপুর, ডিস্কোমোকর, দৌলতপুরের মতো গঙ্গার তীরবর্তী গ্রাম থেকে অনেকগুলিতে গরুকে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ ও বিএসএফের (BSF) কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই জলপথে গরু পাচার(Cattle Smuggling)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক জানান, সীমান্তের অন্যান্য অপরাধ থেকে বিএসএফের এখন প্রধান নজরদারি পৌঁছেছে গরু পাচারে (Cattle Smuggling)।

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি চোরাচালানকারীদের বোমার আঘাতে হাত খোয়ালেন বিএসএফ জওয়ান

সীমান্তে নজরদারিতে সহায়তার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করেছেন বিএসএফের কম্যান্ডার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, “এই অপরাধ রোখার একমাত্র রাস্তা, বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর গরু বোঝাই ট্রাকগুলিকে আটকানো। এইগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকেও”। তিনি আরও বলেন, “বহু বছর ধরে যে সমস্ত পাচারকারী গরু পাচারের (Cattle Smuggling) সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধেও ভারতের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে, তারা বাংলাদেশী পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই ধরণের অপরাধ করে চলে”।


 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.