"আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে আধার সংক্রান্ত সব কাজ স্থগিত রাখা হল।" বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণা করেন শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
হাইলাইটস
- শহরে প্রতিবাদ, আধার তথ্য নথিভুক্তির কাজ স্থগিত রাখল কলকাতা পুরনিগম
- বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
- বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুই কর্মী আধার তথ্য নথিভুক্ত করতে ওয়াটগঞ্জে ঘুরছিলেন
কলকাতা: বুধবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা আধার তথ্য (Aadhaar update drive) জোগার করতে ওয়াটগঞ্জে ঘুরছিলেন। সেই গতিবিধি দেখে প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের ধারণা, "এভাবে এলাকায় এসে আধার তথ্য নথিভুক্তিকরণ আদতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা এনপিআর-এর (NPR) তথ্য সংগ্রহ।" ফলে এই আতঙ্কে তাঁরা পথ অবরোধ শুরু করেন। আর এই প্রতিবাদের আঁচে আধার তথ্য নথিভুক্তিকরণ সাময়িক স্থগিত রাখে কলকাতা পুরনিগম বা কর্পোরেশন (KMC)। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি (BJP)। তাদের অভিযোগ, "মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।" পুরনিগম তরফে খবর, "বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কের ওই কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখেন ওয়াটগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। আধার নথিভুক্তিতে কোনও তথ্য তাঁরা দেবেন না, এই দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধরা।" পরে পুলিশ গিয়ে আটকদের উদ্ধার করে। এবং গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। জানা গেছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি, ষড়যন্ত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়েছে ধৃতদের।
মাইক থেকে বিকট আওয়াজ কেন? প্রশাসনিক বৈঠকে মাইক তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
কেএমসি সূত্রে খবর, যে ফর্ম নিয়ে ওই দু'জন ঘুরছিলেন সেটা পুরনো। ওই ফর্মে এনপিআর কলাম আছে, সেটা দেখে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওয়াটগঞ্জের স্থানীয়রা। "আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে আধার সংক্রান্ত সব কাজ স্থগিত রাখা হল।" বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণা করেন শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, এই কাজে যে ব্যাঙ্কের নাম জড়িয়েছে, তাদের থেকে কৈফিয়ত তলব করা হবে। কেন পুরনো এনপিআর কলাম যুক্ত ফর্ম নিয়ে তিনি এলাকায় ঘুরছিলেন। আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৫০টির ওপর পুরসভায় নির্বাচন। যে তালিকায় কলকাতা পুরনিগমের নামও আছে ।
"শুধু শরণার্থী শিবির থাকবে, আর সব কিছু বিক্রি করে দেবে বিজেপি": Mamata Banerjee
এদিকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিজেপি বলেছে, রাজ্যকে প্রস্তর জুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেস দুজনেই বিভেদের রাজনীতিতে উস্কানি দিচ্ছে। যার ফলে ভয় আর বিভ্রান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)