তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা একসেনচারের অধিকর্তা রামা রামচন্দ্রণ।
হাইলাইটস
- প্রথমে যাবেন বললেও, পরে সমালোচনার জেরে পিছিয়ে আসেন রোমা রামচন্দ্রণ।
- তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা একসেনচারের অধিকর্তা তিনি।
- টুইটারে শুরু হয়েছে বয়কট একসেনচার প্রচার
চেন্নাই: চেন্নাইয়ে আরএসএসের (RSS) একটা অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা (IT Firm) একসেনচারের অধিকর্তা রামা রামচন্দ্রণ। দেশের প্রথমসারির অন্যতম এই তথ্য-প্রযুক্তি (Accenture) সংস্থার অধিকর্তা হিসেবে আরএসএসের অনুষ্ঠানে রামচন্দ্রণের অংশগ্রহণকে ভালো চোখে নেয়নি নেটিজেনরা। হ্যাশট্যাগবয়কট (#Boycott) একসেনচার ব্যানারে শুরু হয় প্রতিবাদ। তারপরই প্রথমে যাবেন বলে কথা দিলেও, পরে ওই অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে (Back out) বাধ্য হয়েছেন রামা রামচন্দ্রন, বলে সংস্থা সূত্রে খবর। তবে শুধু একসেনচারের অধিকর্তা না, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে সম্মতি দিয়েছেন অপর একটি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা জোহো'র প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য শ্রীধর ভেমবু। কোনওরকম সমালোচনায় নতিস্বীকার তিনি করবেন না। এমনটা দাবি করে ওই অধিকর্তা বলেছেন, "কথা যখন দিয়েছি আমি যাবই"।
টুইট করে সমালোচকদের তিনি বলেন, "আমি কোনও আক্রমণের জবাব দেব না। আমরা কাজ করি রুটি-রুজি জোগার করতে। তাই আরও ভালো কাজ করে যাব। কিন্তু কি করব, কোথায় যাব সেটা অন্য কেউ বলে দিতে পারে না।' এই বিষয়ে আরএসএসের তরফে বলা হয়েছে প্রথম যে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল, সেখানে অতিথি হিসেবে রামা রামচন্দ্রণের নাম থাকলেও, নতুন আমন্ত্রণ পত্র থেকে সেই নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, এই অনুষ্ঠান 'রিসার্জেন্ট ভারত' (Resurgent Bharat)-এ এর আগে বক্তব্য রেখেছেন রতন টাটা, উইপ্রোর অধিকর্তা আজিম প্রেমজি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং এইচসিএলের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য শিব নাদার।
এদিকে, রমা রামচন্দ্রণের সরে আসা প্রসঙ্গে নেটিজেনদের (Netizen) কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র তথা আরএসএস সদস্য নারায়ণ তিরুপতি বলেছেন, যাঁরা তথ্য-প্রযুক্তি পেশাদারদের আরএসএসের অনুষ্ঠানে আসতে বাধা দিচ্ছে, তাদের প্রতিরোধ শক্ত হাতে করা হোক। আরএসএস একটা জাতীয়তাবাদী সংগঠন। আশা করব তামিলনাড়ু সরকার বিষয়টা খতিয়ে দেখবে।
অপরদিকে, এই অনুষ্ঠান এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন এনআরসি আর সিএএ নিয়ে উত্তাল দেশ। সংশোধিত সিএএ-তে এই প্রথম নাগরিকত্বের প্রমাণ নেওয়া হবে। সরকার বলছে এই আইন সংখ্যালঘু উদ্বাস্তু, যারা ২০১৫-এর আগে তিন মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি দেশ থেকে এ দেশে এসেছে তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। আবার বিরোধী শিবির বলছে এই আইন মুসলিমদের প্রতি দ্বিচারিতা এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।