This Article is From Jul 07, 2018

বিহারের এক ছাত্রীকে সাত মাস ধরে ধর্ষণ করল 3 শিক্ষক ও 15 জন ছাত্র, জানাল পুলিশ

13 বছরের ওই ছাত্রীটি আতঙ্কে হিম হয়ে যাওয়ার মতো আরও যে তথ্যটি দিয়েছে, তা হল- এই সময়ের মধ্যে ওই স্কুলের 15 জন ছাত্রও ধর্ষণ করেছিল তাকে

বিহারের এক ছাত্রীকে সাত মাস ধরে ধর্ষণ করল 3 শিক্ষক ও 15 জন ছাত্র, জানাল পুলিশ

সাত মাস বাদে তার বাবা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই, সে এই ঘটনায় জড়িতদের নামে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে

ছাপরা:

দিন বদলায়, সময় বদলায়, কেবল ধর্ষণের সংস্কৃতিতে কোনও বদল আসে না। বিহারের ছাপরা জেলার এক স্কুল ছাত্রীকে গত সাত মাস ধরে তার স্কুলের প্রিন্সিপাল ও দুই শিক্ষক লাগাতার ধর্ষণ করে গিয়েছে বলে অভিযোগ। 13 বছরের ওই ছাত্রীটি আতঙ্কে হিম হয়ে যাওয়ার মতো আরও যে তথ্যটি দিয়েছে, তা হল- এই সময়ের মধ্যে ওই স্কুলের 15 জন ছাত্রও ধর্ষণ করেছিল তাকে। স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং ওই দুই শিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ওই তেরো বছরের মেয়েটি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, গত বছর ডিসেম্বরে তার বাবা জেলে চলে যাওয়ার পর থেকেই তার ওপর এই পাশবিক অত্যাচার শুরু হয়। ধর্ষণ এবং তার সঙ্গে প্রতারণা।  সে তার অভিযোগে ওই 18 জনের নামই দিয়েছে।

ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক জানায়,  2017 সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে এক সহপাঠী। ধর্ষণ করার পর অভিযুক্ত ছাত্রটি ওই ছাত্রীটিকে প্রতারণা করতে শুরু করে। তার কয়েকদিন বাদেই এই 'ধর্ষণ ক্রিয়া'য় আরও চার-পাঁচজন ছাত্রের সঙ্গে যোগ দেয় ওই ছাত্রীটির স্কুলের প্রিন্সিপাল ও অন্য দুই শিক্ষক। ধর্ষণ এবং তা নিয়ে প্রতারণা- দুটোই চলতে থাকে একযোগে। এছাড়া, বাড়তে থাকে ধর্ষকের সংখ্যা। ধর্ষক সহপাঠীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছে যায় 15 জনে। প্রায় সাত মাস ধরে তার সঙ্গে এই মর্মান্তিক অত্যাচার চলতে থাকে বলে জানিয়েছে মেয়েটি। সাত মাস বাদে তার বাবা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই, সে এই ঘটনায় জড়িতদের নামে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে।

মেয়েটির বয়ানের ওপর নির্ভর করে বিহারের ছাপরা জেলার পার্শ্বগড়ের একমা থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ধর্ষিতার পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পরেই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল ও বাকি দুই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। বাকি অভিযুক্তদেরও যে খুব তাড়াতাড়িই জালে তোলা হবে, তা নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

মহিলা পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হয়েছিল ওই ছাত্রীর বয়ান। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। এই মামলার তদন্তের সুবিধার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। 

 পুলিশের এক অফিসার অজয় কুমার সিং বললেন, এই মামলা নিয়ে তদন্ত এখন চলছে।
 

.