অন্যদিকে ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপিও।
হাইলাইটস
- ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর দাবি জানাল কংগ্রেস
- মনমোহনের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়েই ছবি তৈরি হয়েছে
- একই নামে থাকা বই থেকেই তৈরি হয়েছে ছবিটি
নিউ দিল্লি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টারকে ঘিরে এমনিতেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। এবার তাতে সরাসরি রাজনীতি যুক্ত হয়ে গেল। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের তরফ থেকে ছবিটি আগে দেখানোর দাবি উঠল। সে রাজ্যের যুব কংগ্রেস সভাপতি সত্যজিৎ তাম্বে পাটিল ছবির প্রযোজককে এই মর্মে চিঠি লিখেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় মনমোহন সিংয়ের মিডিয়া পরামর্শদাতা সঞ্জয় বারুর লেখা বই থেকে একই নামে ছবি হচ্ছে। তাতে মুখ্য ভূমিকায় আছে অনুপম খের। তাম্বের দাবি ১১ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার আগে এই ছবি আলাদা করে দেখানোর ব্যবস্থা করা হোক। চিঠিতে তিনি লিখেছেন ছবির ট্রেলার দেখে মনে হচ্ছে তাতে মনমোহন সিং এবং সোনিয়া গান্ধির ভূমিকাকে যথাযথ ভাবে উপস্থাপিত করা হয়নি। সঠিক তথ্য পরিবেশন না করে কংগ্রেসকে বদনাম করা হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি। আর তেমন কিছু হয়ে থাকলে সেই অংশ বাদ দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তাঁর বক্তব্য অনেকের কাছে স্ত্রকবারতার সামিল।
অন্যদিকে ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপিও। প্রথমেই দলের তরফে টুইটটি পোস্ট করা হয়েছে, সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘দেখুন কীভাবে ১০ বছর ধরে মনমোহন সিংকে সামনে রেখে একটি পরিবার দেশ চালিয়েছে।'
মুম্বইয়ের বহুতলে আগুন লেগে পাঁচ প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যু
প্রাকাশ্যে আসা ট্রেলারে অনুপম খেরকে দেখা যাচ্ছে। তাতে তাঁর যে রূপ ধরা পড়েছে তার সঙ্গে বেশ মিল আছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর চেহারার। ছবিতে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ের কথা উঠে এসেছে। ট্রেলারের একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে ছবির মনমোহন সিং বলছেন তিনি পদত্যাগ করবেন। উত্তরে কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি বলছেন প্রতিদিন একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। এখন রাহুলের পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া কীভাবে সম্ভব?
মুক্তির আগে ছবি দেখতে চাওয়ায় কংগ্রেস নেতার সামালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকে। তার মধ্যে আছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা। তিনি বলেছেন আমরা অন্যের আচরণকে অসহিষ্ণুতার নামান্তর বলব আর নিজেরা একই কাজ করব সেটা হতে পারে না। তবে ছবির মুখ্য চরিত্রের অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ কিরণ খেরের স্বামী অনুপম খের অবশ্য বলছেন এই ছবি আগামী দিনের রাজনৈতিক বায়োপিককে নতুন পথ দেখাবে।