নীতিশ কুমারের সমালোচনায় বিরোধী পক্ষ।(ফাইল)
জোকিহাট:
তাঁর অর্ধেক মন্ত্রীসভা এবং সমস্ত রাজনৈতিক শরিককে আগামী সপ্তাহে পূর্ব বিহারের একটি আসনে নির্বাচনের কারণে কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন নীতিশ কুমার। জোকিহাটের পরের সপ্তাহের উপনির্বাচন যে তাঁর জনপ্রিয়তার বড়ো মাপকাঠি হতে চলেছে, তা অনুধাবন করতে পেরেছেন তিনি। কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে করা জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর যে তিনি নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন অনেকটা, তা ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন এই মুহূর্তে তাঁর সবথেকে বড়ো রাজনৈতিক শত্রু তেজস্বী যাদব।
পাটনা থেকে 300 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জোকিহাটের নির্বাচন নিয়ে একটি আপাত নিস্পৃহতা দেখাতে চাইলেও, নিজের মুখ থেকে মরীয়া ভাবটা লুকোতে পারছেন না।“আপনারা যদি এই জয় এনে দিতে পারেন, তাহলে আমি এখন যত সময় দিই, তার থেকে তিন গুণ বেশি সময় দিয়ে আপনাদের সমস্যার কথা শুনব”। এই কেন্দ্রে জনতা দল ইউনাইটেডের প্রার্থী মুর্শিদ আলমের হয়ে প্রচারে এসে এমনটাই বলেছেন তিনি।
একটি গণধর্ষণ সহ মুর্শিদ আলমের নামে সাতটি ফৌজদারী মামলা রয়েছে। মন্দির থেকে মূর্তি চুরি করার আরেকটি মামলাও রয়েছে তাঁর নামে।
তাঁর দলের প্রার্থীর এই ‘পরিচয়’টি নীতিশ কুমারের কাছে খুব সুখপ্রদ নয়। তেজস্বী যাদবের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তিনি গত বছর কংগ্রেস-আরজেডি জোটের সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন।
নীতিশ কুমার তাঁর দলের প্রার্থীর হয়ে গত বৃহস্পতিবার প্রচারে আসেন। প্রচারে অনেক কথা বললেও, প্রার্থী হিসাবে মুর্শিদ আলম তাঁর কতটা পছন্দের সেই প্রশ্ন সুচারুভাবে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। মাঝে একবারই শুধু বলেন যে, এই প্রার্থীকে পছন্দ করেছে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতারা।
প্রার্থীর এইরকম ট্র্যাক রেকর্ডের ফলে নীতিশ কুমারের দলকে যে বেশ সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে, তা বোঝাই যায়।
এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জনতা দল ইউনাইটেডের সরফরাজ আলম। কিন্তু, নীতিশ কুমারের কংগ্রেস এবং আরজেডির জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরফরাজ জেডিইউ ছেড়ে আরজেডিতে যোগ দেন। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।