This Article is From Dec 22, 2019

হায়দরাবাদ কাণ্ডের চার অভিযুক্তের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত! ৩ সদস্যের দল গঠন এইমসের

৬ ডিসেম্বর প্রথম ময়নাতদন্ত হয় মেহবুবনগরের একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে আদালতের নির্দেশে গান্ধি হাসপাতালে সরানো হয় দেহ।

হায়দরাবাদ কাণ্ডের চার অভিযুক্তের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত! ৩ সদস্যের দল গঠন এইমসের

৬ ডিসেম্বর  চেত্তনপল্লিতে ওই চারজনকে এনকাউন্টার করে পুলিশ

হায়দরাবাদ:

 হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও খুনে চার অভিযুক্তর মৃতদেহের ফের ময়নাতদন্ত (post-mortem examination) হবে। দ্বিতীয় এই ময়নাতদন্তের জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের তিন সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করল AIIMS। ওই হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সুধীর গুপ্তার নেতৃত্বাধীন এই দলে বাকি দু'জন হলেন চিকিৎসক আদর্শ কুমার এবং চিকিৎসক অভিষেক যাদব। পোস্টমর্টেমের সময় চিকিৎসক বরুণ চন্দ্র এই দলকে সাহায্য করবেন। 
AIIMS-এর তেলেঙ্গানা শাখার প্রধান সচিব জানান, "তেলেঙ্গানা সরকার পরিচালিত গান্ধি হাসপাতালের মর্গে ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, সকাল ৯টায় এই ময়নাতদন্ত হবে।" তিনি আরও জানান, গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড রবিবার ২২ ডিসেম্বর বিকেল ৫.১৫ নাগাদ তেলেঙ্গানার উদ্দেশে রওনা দেবে আর ২৩ ডিসেম্বর আবার দিল্লি ফিরে আসবে। তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের নির্দেশে ওই চারজনের মৃতদেহ গান্ধি হাসপাতালেই রাখা আছে।

 তেলেঙ্গানা গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট

সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশেই এই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত। এমনকি ২৩ ডিসেম্বরের আগে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে হাইকোর্টের রেজিস্টারের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারের পর একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে এই এনকাউন্টারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে একে 'সাজানো' বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ঘটনা হায়দরাবাদ পুলিশের আইন বহির্ভূত কাজ বলেও হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। 

হায়দরাবাদ হোক বা উন্নাও, দু'টি ঘটনাই ‘লজ্জাজনক': মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্বিতীয় এই পোস্টমর্টেমের পরেই ওই চারজনের পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে গান্ধি হাসপাতাল। গত মাসের ২৯ তারিখ হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসক এক তরুণীকে প্রথমে গণধর্ষণ ও পরে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় ফের একবার আলোড়ন পড়ে দেশজুড়ে। ছ'বছর পর ফিরল নির্ভয়া-কাণ্ডের বিভীষিকা- এভাভেও সমালোচনা শুরু করেন নেটিজেনরা। সেই সমালোচনার মধ্যেই ৬ ডিসেম্বর  চেত্তনপল্লিতে ওই চারজনকে এনকাউন্টার করে পুলিশ। এখানেই ওই চারজনকে আনা হয়েছিল অপরাধের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য। সে সময় পুলিশের দাবি ছিল, পুলিশের বন্দুক কেড়ে পালানোর চেষ্টা করে ওই চার অভিযুক্ত। এই অভিযোগে তাদের এনকাউন্টার করতে বাধ্য হয় পুলিশ। প্রকাশ্যে আনা হয় ওই চার অভিযুক্তের মৃতদেহ। এরপরই ৬ ডিসেম্বর প্রথম ময়নাতদন্ত হয় মেহবুবনগরের একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে আদালতের নির্দেশে গান্ধি হাসপাতালে সরানো হয় দেহ।

.