দুই টলিউড অভিনেত্রী সোমবার সংসদ চত্বরে আইডেন্টিটি কার্ড সমেত ছবি তোলেন।
নয়াদিল্লি: তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল ট্রোলের সম্মুখীন হতে হল সোমবার সংসদে পশ্চিমি পোশাক পরে যাওয়ার জন্য। তবে অনেকেই সমর্থনও করেছেন তাঁদের। শাড়ি পরেই সাধারণত সব সাংসদরা সংসদে আসেন, সে জায়গায় অন্য পোশাক পরিহিতা দুই সাংসদকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। বাংলার দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী টপ ও প্যান্ট পরেছিলেন এইদিন। যা নিয়ে অনেকেই আপত্তি করেন। তাঁদের দাবি, নুসরত ও মিমি সংসদে ‘উপযুক্ত পোশাক' পরে আসেননি। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘‘সংসদ কোনও ফোটো স্টুডিও নয়।'' আবার মিমিকে লক্ষ্য করে আর একজনের দাবি, ‘‘উনি এই পদের যোগ্য নন।''
তবে অনেকেই তাঁদের পূর্ণ সমর্থন করেছেন। একজন নুসরতকে তাঁর পোশাকের জন্য প্রশংসা করেছেন। অন্য একজন দু'জনকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের উৎসাহ দিয়ে বলেন ‘সিংহীর মতো কাজ' করতে।
তবে নেতিবাচক মন্তব্যই পরিমাণে বেশি।
দুই টলিউড অভিনেত্রী সোমবার সংসদ চত্বরে আইডেন্টিটি কার্ড সমেত ছবি তোলেন। মিমি চক্রবর্তী সেই ছবি পোস্ট করেন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে। নুসরতকে ট্যাগ করে লেখেন—‘‘এবং আমরা আবার। সংসদে প্রথম দিন।'' মিমির পরনে ছিল সাদা শার্ট ও নীল জিন্স এবং নুসরত জাহান পরেন টপ ও প্যান্ট।
নুসরতও টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন। সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা সেই ছবির সঙ্গে তিনি ধন্যবাদ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ দেন তাঁর সংসদীয় এলাকার মানুষকে, যাঁদের ভোটে তিনি অনায়াস জয় পেয়েছেন।
দুই বিধায়কই রাজনীতিতে নতুন হলেও দুরন্ত জয় পেয়েছেন এবারের লোকসভা নির্বাচনে।
৩০ বছরের মিমি কলকাতার যাদবপুর কেন্দ্রে জয়লাভ করেন প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে। ২৯ বছরের নুসরত জাহান বসিরহাট থেকে ৩.৫ লক্ষ ভোটে জয়লাভ করেন। দুই কেন্দ্র থেকেই ২০১৪ সালে তৃণমূল জিতেছিল ১,৩০,০০০-এরও কম ভোটে।
তৃণমূল ৪২ আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। দুই তরুণী অভিনেত্রীকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হচ্ছিল।
কোনও মহিলা রাজনীতিবিদকে পোশাকের জন্য সমালোচনা করার ঘটনা এই প্রথম নয়। মাসকয়েক আগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকেও ট্রোল হতে হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।