Read in English
This Article is From Aug 22, 2020

অনলাইন ক্লাস করতে প্রতিদিন ৫০ কিমি হাঁটা! শিশু সুরক্ষা কমিটির দ্বারস্থ পড়ুয়ারা

জেলাশাসকের মধ্যস্থতা দাবি করে প্রশাসনকে তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

প্রতীকী ছবি।

রত্নগিরি/মুম্বই :

কোভিড-১৯ ও সাইক্লোন নিসর্গ সর্বস্ব কেড়েছে। কিন্তু পঠনপাঠনে ব্যাঘাত ঘটলে চলবে না। তাই খানিকটা বাধ্য হয়ে মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় গ্রামের ২০০ জন পড়ুয়া প্রতিদিন ৫০ কিমি হাঁটে। কেন? শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হতে। আর এই দীর্ঘ যাত্রায় খানিকটা তাদের বাধ্য করা হয়। কারণ দুই সংকটে রত্নগিরি জেলার এই গ্রাম সভ্যতা বিচ্ছিন্ন। নেই ইন্টারনেট ও মৌলিক পরিষেবা। ফলে ৫০ কিমি দূরের গ্রামের ইন্টারনেট এখন তাদের পঠনপাঠনের ভরসা। কিন্তু একমাস, দু'মাস কেটে গেলেও পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। তাই এবার বাধ্য হয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিটির দ্বারস্থ ওই ৫০ জন। যতটা দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রামে ইন্টারনেট ফিরবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিটি। এবিষয়ে এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছেন, "আমরা সেলুলার সংস্থা ও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিকূলতা সরিয়ে দ্রুত ইন্টারনেট ফেরাতে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছি।"

২৪ জুলাই রত্নগিরির জেলাশাসককে লেখা চিঠিতে  কানুনগো বলেছেন, "এক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই চিঠি পাঠাচ্ছি। আপনার জেলার পিনকোড নম্বর ৪১৫৭১৪ থেকে খারাপ ও বিঘ্নিত মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের অভিযোগ এসেছে। ৩ জুনের নিসর্গ ঝড়ে ওই এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ফলে প্রভাবিত প্রাথমিক পরিষেবা। সেই দিন থেকে গ্রামবাসীরা মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।" এই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ওই এলাকার প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া প্রতিদিন বাধ্য হচ্ছে ৫০ কিমি হেঁটে অনলাইন ক্লাস করতে। এই প্রসঙ্গও সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

সূত্রের খবর, জেলাশাসকের মধ্যস্থতা দাবি করে প্রশাসনকে তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement