পিয়েরকে ক্ষতিপূরণ হিসবে ২১.৫ মিলিয়ন টাকা দিতে হবে
রোব্বারেও অফিস? অনেকদিন ধরেই রোববার বা সাপ্তাহিক একদিনের ছুটি মারা যাচ্ছে আপনার? বসের চাপে মুখের উপর কিছু বলাও যাচ্ছে না! তাহলে আপনার হতাশা আর রাগ ঠিক কোন উপায়ে চালনা করতে পারেন তা শিখে নিতে পারেন মারি জ্যঁ পিয়েরির কাছ থেকে। প্রায় এক দশক ধরে, মিয়ামি পশের কনরাড হোটেলে পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি।
হাইতিয়ান অভিবাসী মারি ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে এই হোটেলে কাজ করছিলেন। তাঁর কেবল একটাই শর্ত ছিল। রোব্বারের ছুটি কাঁটা যাবে না কিছুতেই। মারি হোটেলকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি রবিবার কিছুতেই কাজ করতে পারবেন না কারণ তিনি সৈন্যদের ক্রাইস্ট চার্চের একজন মিশনারি। ৬০ বছরের মারি বলেন, "আমি ঈশ্বরকে ভালোবাসি, রবিবার কোন কাজ আমি করব না কারণ রবিবার আমি ঈশ্বরের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে ব্যস্ত থাকি।"
প্রাথমিকে শেখানো হচ্ছে শরীর ঢেকে ‘যৌন আব্রু রক্ষা'র পাঠ! বিক্ষোভে বদল পাঠ্যে
দীর্ঘদিন ধরেই হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে রোববার ছুটি দিয়ে এসেছিল তাঁকে। তবে ২০১৫ সালের অক্টোবরে রান্নাঘরের ম্যানেজার তাঁকে জানান, রোববার তাঁকে কাজ করতেই হবে। বদলে অন্যদিন ছুটি নিতে পারেন তিনি। মারি তাঁর ফাদারকে দিয়ে একটি চিঠি লিখিয়ে জমা দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্রামবারে ধর্মনিরপেক্ষ কাজ করতে হলে তা তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের লঙ্ঘন করা হবে। কিন্তু বরফ এতে গলে না। ম্যানেজার মেরিকে জানান তাঁর সহকর্মীদের রাজি করিয়ে যদি তাঁর ছুটি রোব্বারে নিতে পারেন তাহলে কিছুটা সুরাহা হতে পারে। ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই ব্যবস্থাতেই কাজ চলতে থাকে। কিন্তু এরপরেই হঠাৎ "খারাপ কাজ, অমনোযোগ এবং অবহেলিত অনুপস্থিতি"র অভিযোগ তুলে রাতারাতি চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয় মেরি জ্যঁ পিয়েরকে।
এর প্রতিবাদে মেরি ‘কর্মসংস্থানে সম সুযোগসুবিধা কমিশনে' একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান যে হোটেল তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। অবশেষে, পার্ক হোটেল এবং রিসর্টস অফ টাইসন্স, ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, হোটেলটি ১৯৬৪ সালের নাগরিক অধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে, যেখানে বলা হয়েছে জাতি, রঙ, ধর্ম, লিঙ্গ বা জাতীয় উৎসের ভিত্তিতে কোনও সংস্থা তার কর্মীর সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না।
১৪ ফুটের পোষ্য কুমীর কামড়ে খেয়ে ফেলল ইন্দোনেশিয়ার গবেষককে
মারি পিয়েরের অ্যাটর্নি, মার্ক ব্রুমার বলেন, “হোটেলটি মারি পিয়েরের ধর্মীয় বিশ্বাস মাথায় রেখে বিষয়টি যুক্তিসঙ্গতভাবে মিটমাট করতেই পারত। পরিবর্তে, তাঁরা অনুপস্থিতির বিষয় তুলে তাঁকে অভিযুক্ত এবং বহিস্কার করে।” সোমবার, একটি ফেডারেল জুরি সিদ্ধান্ত নেয় যে, পিয়েরকে ক্ষতিপূরণ হিসবে ২১.৫ মিলিয়ন টাকা দিতে হবে। এর মধ্যে, ৩৬,000 ডলার হল তাঁর মাইনে ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা, ৫00,000 ডলার হল মানসিক কষ্ট এবং মানসিক যন্ত্রণার ক্ষতিপূরণ। অবশিষ্ট ২১ মিলিয়ন হল শাস্তি।
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, "আমরা জুরির রায়ে খুব হতাশ ছিলাম এবং বিশ্বাস করি না যে এই মামলা আইনের দ্বারা সমর্থিত! পিয়েরের ১০ বছরের হোটেলের সঙ্গে কাজে তাঁর ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য একাধিক ছাড় দেওয়া হয়েছিল।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)