This Article is From Aug 23, 2018

সুবিন্যস্ত বিদেশনীতি গড়ে তোলাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ইমরান খানের

দীর্ঘদিনের বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তুমুল বৈরিতা এবং প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া যোগাযোগকে ঘাড়ে নিয়ে বিশ্ব দরবারে পাকিস্তান প্রায় নিঃসঙ্গ এক রাষ্ট্র হয়ে পড়েছে এখন।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Translated By

শান্তির পথেই একমাত্র আসতে পারে অগ্রগতি, মনে করেন ইমরান।

ইসলামাবাদ:

আফগানিস্তানের সঙ্গে ক্রমশ শীতল হতে থাকা সম্পর্ক, দীর্ঘদিনের বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তুমুল বৈরিতা এবং প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া যোগাযোগকে ঘাড়ে নিয়ে বিশ্ব দরবারে পাকিস্তান প্রায় নিঃসঙ্গ এক রাষ্ট্র হয়ে পড়েছে এখন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, প্রাথমিকভাবে এই সম্পর্কগুলিকে মেরামত করাই এখন সদ্য নির্বাচিত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মূল লক্ষ্য। “আমাদের সামনে অত্যন্ত বড় একটি বিদেশনীতির চ্যালেঞ্জ এসে উপস্থিত হয়েছে। এই বিশ্বে যদি এমন কোনও দেশ এখন থাকে, যার প্রবলভাবে দরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা- তা হল, পাকিস্তান”, প্রাক্তন পাক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গত মাসের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই এই কথাগুলি বলেছিলেন তাঁর বিজয় ভাষণে।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিদেশনীতি সম্পর্কে প্রায় সম্পূরণ আনকোরা একজনের পক্ষে ব্যাপারটা মোটেই সহজ হবে না। শনিবারই এমনই একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন ইমরান খান, যে দেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে, তারা চরমপন্থীদের সমর্থন দিয়ে আসছে নিজেদের দেশের ভিতরেই। যে অভিযোগ ইসলামাবাদ চিরকালই অস্বীকার করে এসেছে।   

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রথম শীতলতা তৈরি হয়, যখন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই দেশের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তান ‘মিথ্যেবাদী’ এবং ‘দ্বৈততা’র পরাকাষ্ঠা হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ক্ষেত্রে। কয়েক কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়াও ওই সময় বন্ধ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

ইমরান নিজেও গত এক দশক ধরে মার্কিন-নেতৃত্বে জঙ্গিদমন অভিযানে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তুলে গিয়েছিলেন।

.

Advertisement

.

 

 

 

 

Advertisement