কাজের ক্ষেত্রে তিনি ন্যায়-নীতি মেনে চলতেন (ফাইল চিত্র)
নয়া দিল্লি: চলে গেলেন নয়ের দশকের প্রবল প্রতাপশালী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশন। রবিবার সকাল ন-টায় চেন্নাইয়ে বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বয়সজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। প্রথমসারির এক প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তার কথায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর সময়ে দেশের নির্বাচনী সংস্কারে সেশনের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থতার জন্য বেশ কিছু বছর ধরে বাড়ির বাইরে খুব কমই পা রাখতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। স্পষ্টবক্তা হিসেবে একই সঙ্গে নিন্দিত এবং নন্দিত সেশনের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
‘প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর টুইটে লেখেন, সেশন ছিলেন এক নজিরবিহীন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক। তিনি সম্পূর্ণ নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সঙ্গে দেশের সেবা করেছিলেন। নির্বাচনী সংস্কারে তাঁর প্রচেষ্টা ও ভূমিকা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।‘
আরেক প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি টুইটে জানান, 'টিএন সেশন আর আমাদের মধ্যে নেই। খবরটা শোনার পর থেকেই শূন্যতা গ্রাস করেছে। তিনি তাঁর উত্তরসূরীদের কাছে আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা ছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।‘
টুইটে শোক জ্ঞাপন করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও। লেখেন, 'প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশানের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীর মর্মাহত। তিনি পলক্কড়ে ভিক্টোরিয়া কলেজে আমার বাবার সহপাঠী ছিলেন। অসীম সাহস, কঠোর মনোভাব এবং স্পষ্টবাদিতার জোরে তিনি নির্বাচন কমিশনে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।