রাজ্যসভায় মনোনীত প্রথম প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈকে (Ranjan Gogoi) রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) । রাষ্ট্রপতির পদক্ষেপ এই প্রথমবার। এখনও পর্যন্ত, এই পদে গিয়েছেন বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন। প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্র কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সাংসদ হন, কেরলের রাজ্যপাল হিসেবে প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি পি সদাশিবমকে নিয়োগ করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। রঞ্জন গগৈ গত বছরের নভেম্বরে অবসর নেন, ১৩ মাস সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি থাকার পর অবসর নেন তিনি। গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত হওয়ার আগে, রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন বিচারপতি বাহারুল ইসলাম।
দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন মোদি, বাংলাদেশে প্রচারিত ভুয়ো খবরের নিন্দায় ভারত
১৯৮০ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন তিনি। সেই সময় বিহারের নাগরিক সমবায় ব্যাঙ্কের মামলায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে মুক্তি দেন তিনি। পরে পদত্যাগ করে আবারও রাজ্যসভার সাংসদ হন বাহারুল ইসলাম।
২০১৮ সালে সাংবাদিক সম্মেলনে যে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সেখানে নাম ছিল তাঁর। সেই সময় প্রধানবিচারপতি ছিলেন দীপক মিশ্র।
বিচারপতি হিসেবে, ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলায় যে বিচারপতিদের বেঞ্চ রায় দেয়, সেই সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রধান ছিলেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ২.৭৭ একর জমি মন্দিরের জন্য দেয় সাংবিধানিক বেঞ্চ এবং মসজিদের জন্য অযোধ্যার অন্য কোনও জায়গায় ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
১০৪৫ পাতার অযোধ্যা রায় দানের পর দিল্লির এই পাঁচতারা হোটেলে জমিয়ে ভূরিভোজ বিচারপতিদের
রাফাল জেট চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্লিনচিট দেয় তাঁর নেতৃত্বাধীন, বলা হয়, ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার প্রক্রিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও ব্যাপর নেই।
তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন আদালতের এক কর্মী, তবে মামলাটির দায়িত্বে থাকা সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ।