தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Mar 19, 2020

রাজ্যসভায় "শেম" আওয়াজের মধ্যেই সাংসদ হিসাবে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ

Rajya Sabha: মাত্র চার মাস আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেওয়া বিচারপতি গগৈ তাঁর এই ভূমিকা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়া দিল্লি:

বৃহস্পতিবারই রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদ হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে সংসদের উচ্চকক্ষে শপথ গ্রহণের সময় সেখানে উপস্থিত কংগ্রেস সাংসদরা তাঁকে লক্ষ্য করে "শেম-শেম" ধ্বনি দেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির সাংসদ হিসাবে এই নিয়োগকে (Rajya Sabha's MP) বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হিসাবে তুলে ধরা হয়। মাত্র চার মাস আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেওয়া বিচারপতি গগৈ(Ranjan Gogoi) তাঁর এই ভূমিকা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন যে তাঁর এই নতুন ভূমিকার ফলে "আইনসভার সামনে এবার দেশের বিচার বিভাগের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের সুযোগ হবে"।

"আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে যেহেতু আমার বিচার বিভাগের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এবার আইনসভায় কাজ করার ফলে নিশ্চিত যে আইনসভা ও বিচার বিভাগ মিলিত এই অভিজ্ঞতা জাতির সেবায় ভালভাবে কাজ করতে সহায়ক হবে। সংসদে আমার উপস্থিতি এবার আইনসভার সামনে বিচার বিভাগের ভাবনা প্রকাশে সহায়ক হবে", বলেন তিনি।

বিরোধী দল কংগ্রেস বিচারপতি গগৈয়ের এই নিয়োগকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর উপর "গুরুতর, অভূতপূর্ব এবং অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ" বলে উল্লেখ করেছে।

Advertisement

কংগ্রেস সাংসদ মনু সিংভি বলেন, "আমাদের সংবিধান বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের স্বতন্ত্র ক্ষমতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে, আমাদের ধারণা এই ঘটনায় মানুষ বিশ্বাস হারাবে এই ব্যবস্থার উপর”।

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ এই নিয়োগ নিয়ে তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীর সমালোচনা করে বলেছেন,  তাঁর এই সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর সাধারণ মানুষের আস্থাকে নষ্ট করবে এবং এই ঘটনা একটা নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলবে।

Advertisement

এর আগে দেশের কোনও প্রধান বিচারপতিকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত করা হয়নি, কেননা এতদিন দেখা গেছে সাধারণত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই রাজ্যের কোনও খ্যাতনামা ব্যক্তি এবং শিল্পীদের রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করেন। এবং বিচার বিভাগের কয়েকজন সদস্য আইনসভার ফাঁকে পেরিয়ে গেছেন।

বিচারপতি হিসাবে দেশের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক মামলার সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেছে রঞ্জন গগৈয়ের। তাঁর আমলেই অযোধ্যার রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ জমি সমস্যা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রাম মন্দিরের জন্যে বরাদ্দ করেছিল এবং অযোধ্যার কোনও একটি বিকল্প স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্যে ৫ একর জমি দেওয়ার বিধান দেয়।

Advertisement

পাশাপাশি রাফাল জেট অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের অংশও ছিলেন গগৈ, তিনি বলেন যে ৩৬ টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।

Advertisement