শিখবিরোধী দাঙ্গায় অভিযুক্ত সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট
নিউ দিল্লি: ১৯৮৪ সালে শিখবিরোধী দাঙ্গার ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার বেশ কয়েকদিন সময় চেয়েছিলেন জেলে যাওয়ার আগে। তাঁর সেই আর্জি আজ খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জানাল আদালত। গতকালই এই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছিলেন আত্মসমর্পণের জন্য। আদালতকে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর তিন সন্তান এবং আটজন নাতিনাতনীর মধ্যে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা চূড়ান্ত করে যেতে চান তিনি জেলে যাওয়ার আগে। আদালত তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিল না। এছাড়া, সজ্জন কুমারের কৌঁসুলিও সুপ্রিম কোর্টের কাছে সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হাইকোর্টের রায়টিকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করবেন বলে কয়েকদিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন।
1984 সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গা: কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে আজীবন কারাদণ্ডের আদেশ
এই মামলায় গত সোমবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সজ্জন। মানে তিনি আর যে ক'দিন জীবিত থাকবেন সেই সময়টা জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। আগে একবার রেহাই পেয়েছিলেন সজ্জন কুমার। কিন্তু সেই রায় খারিজ করে এবার রায় দেয় হাইকোর্ট। ঘটনাটিকে বিচারপতিরা 'গণহত্যা' বলে চিহ্নিত করেন।
১৯৮৪ সালের দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত সজ্জন কুমার আত্মসমর্পণের জন্য ৩০ দিন সময় চাইলেন
দিল্লির রাজনগর এলাকার একটি পরিবারের পাঁচ জনের খুন এবং ধর্মীয়স্থানে ভাঙচুর করার অভিযোগ ছিল সজ্জন কুমারের নামে। বিচারে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারপতিরা। একই সঙ্গে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রায় দেওয়ার সময় আদালত বলে সকলকে বোঝানো দরকার সমস্যা থাকলেও সুবিচার মিলবেই। সেই ঘটনার অভিঘাত আজও নাড়া দিয়ে যায় বলে আদালত জানায়।
দেখুন ভিডিও: