তিহার জেল (Tihar Jail) থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই সংসদে হাজির হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম (Former Finance Minister P Chidambaram)। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে বন্দি ছিলেন তিনি। দিল্লির তিহার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১২ ঘণ্টাও পেরোয়নি, সংসদে নিজের বক্তব্য রাখতে হাজির হয়েছেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সরকার সংসদে আমার কথা থামাতে পারবে না”। রাজ্যসভার কংগ্রেস সদস্য চিদাম্বরম পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দামের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদদের প্রতিবাদেও যোগ দেন। ৭৪ বছর বয়সী পি চিদাম্বরম আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১২.৩০ নাগাদ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলেও সূত্রের খবর।
গতকাল সন্ধ্যায় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পরই কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা দলীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে তার বাসভবনেই দেখা করেন। পি চিদাম্বরম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি খুশি যে সুপ্রিম কোর্ট জামিন মঞ্জুর করার একটি আদেশ পাশ করেছে এবং আমি খুশি যে আমি ১০৬ দিন পর স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারছি।”
আইএনএক্স মিডিয়া সম্পর্কিত অর্থ তছরুপের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করার পরেই পি চিদাম্বরম তিহার জেল থেকে বেরিয়ে আসেন।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে পি চিদাম্বরম আদালতের অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন না এবং প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপস্থিত থাকতে হবে। এই মামলায় প্রকাশ্য বিবৃতি দেওয়া, সাক্ষাত্কার দেওয়া বা সাক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকেও তাকে নিষেধ করা হয়।
আদালত এও বলেছিল যে “জামিন মঞ্জুর হওয়াই নিয়ম এবং না মঞ্জুর হওয়াটাই ব্যতিক্রম।" শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পি চিদাম্বরম “বা তার হয়ে কেউ সাক্ষীকে বাধা দিয়েছে বা হুমকি দিয়েছে” এমনটা প্রমাণ করার মতো কোনও নথি নেই।
পি চিদাম্বরমকে ২১ শে অগাস্ট সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল। ২০০৭ সালে দেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে তিনি পিটার এবং ইন্দ্রাণী মুখার্জি প্রতিষ্ঠিত আইএনএক্স মিডিয়া কোম্পানিকে বিশাল পরিমাণে বিদেশি তহবিল পেতে সাহায্য করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
এই আইএনএক্স মিডিয়া মামলার সঙ্গে জড়িত অর্থ তছরুপের অভিযোগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পি চিদাম্বরমকে ১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে। পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিদেশি ব্যাঙ্কের অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে।