தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Sep 02, 2019

তিহার জেলে যেতে হচ্ছে না, সিবিআই হেফাজতেই ফের চিদাম্বরম

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন, তাঁকে যেন তিহার জেলে পাঠানো না হয়, কারণ তাঁর বয়স ৭৪।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by , Translated By

পি চিদাম্বরম গত ১১ দিন ধরে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে (P Chidambaram) আপাতত দিল্লির তিহার জেলে যেতে হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর সিবিআই হেফাজতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  তাঁর আইনজীবী এদিন শীর্ষ আদালতকে জানান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে (Chidambaram) যেন তিহার জেলে পাঠানো না হয়, কারণ তাঁর বয়স ৭৪। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। চিদাম্বরমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী কপিল সিবাল আবেদন করেন, তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হোক। গত ২১ আগস্টে বন্দি হওয়া চিদাম্বরম ১১ দিন ধরে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল বলেন, ‘‘চিদাম্বরমকে কিছুটা নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। তাঁর ৭৪ বছর বয়স। তাঁকে গৃহবন্দি করা হোক তিহার জেলে না পাঠিয়ে।'' শীর্ষ আদালত জানিয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে জামিনের জন্য বিশেষ আদাল‌তে আবেদন করতে হবে।

আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ‘‘আপনি এভাবে মানুষকে অবমাননা করতে পারেন না।''

আদালত বলে, গৃহবন্দি কেবলমাত্র রাজনৈতিক বন্দিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পাশাপাশি আদালত জানতে চায়, চিদাম্বরম কেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই আবেদন করছেন না।

Advertisement

এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আরও তিনদিন সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে চিদাম্বরমকে।

পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি, বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থাকে বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া।

Advertisement

চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলের নাম জানিয়েছেন আইএনএক্স-এর যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তাঁদের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যা করেছেন। এই মুহূর্তে তাঁরা জেলে রয়েছেন। যদিও চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গ্রেফতারির আগের দিন সন্ধে থেকে চিদাম্বরমের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আচমকাই তিনি হাজির হন কংগ্রেসের সদর দফতরে। এর ৯০ মিনিট পরই গ্রেফতার হন তিনি।

Advertisement

প্রথম শুনানির সময় চিদাম্বরম তাঁর বিরুদ্ধে তোলা ‘‘অসহযোগিতা''র অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁকে সিবিআই হেফাজতে রাখার কোনও অর্থই হয় না। কারণ তিনি কোনও প্রমাণ নষ্ট করেননি অথবা তাঁর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু বিশেষ বিচারক অজয় কুমার কুলহার বলেন, ‘‘অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুতর। এই সত্যকে অস্বীকার করা যায় না যে, বিস্তৃত ও গভীর অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে।''

Advertisement