শর্মিলা সহ ৭ জনের খোলা চিঠি (ফাইল ছবি)
নয়া দিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে সংবিধান নিয়ে খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করলেন অভিনেত্রী Sharmila Tagore। তিনি একা নন, দেশের আরও সাত গণ্যমান্য ব্যক্তি এই চিঠিতে সই করেন। তাঁরা প্রাক্তন সুপ্রিম বিচারপতি J Chelameswar, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার SY Quraishi, প্রাক্তন আর্মি কমান্ডার লেফ. জেনারেল হরচরণজিৎ পানাগ, পরিচালক আদুর গোপালকৃষ্ণন, সুরকার টিএম কৃষ্ণ, UGC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুখদেও থোরাট এবং পরিকল্পনা সমিতির প্রাক্তন সদস্য সইদা হামিদ। তাঁদের আবেদন, ৭০ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আরও একবার খুঁটিয়ে দেখা দরকার ভারতীয় সংবিধানকে।
দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে ট্যুইট-যুদ্ধ মোহনদাস পাই, কিরণ সাউয়ের
খোলা চিঠিতে প্রত্যেকের প্রশ্ন, "সংবিধান কি শুধুই নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতার অপব্যবহারের বৈধতা দেয়? এর সাহায্যে শাসক নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার অবজ্ঞা করার ছাড়পত্র পায়? এটি কি ধর্মগ্রন্থের মতোই কেবল পবিত্র গ্রন্থ? যা লেখার পর শুধু তুলে রেখে দেওয়ার জন্য! বোধহয় তা নয়। বহু শহিদের রক্তে রাঙানো স্বাধীনোত্তর দেশকে পথ দেখাতেই রচিত হয়েছিল এই সংবিধান।" প্রসঙ্গত, নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সারা দেশ যখন অসন্তুষ্ট তখনই বিশিষ্টজনেদের স্বাক্ষর সম্বলিত এই চিঠি প্রতিবাদকে যেন নতুন মাত্রা দিল।
শর্মিলা ঠাকুর, আদুর গোপালকৃষ্ণন সহ বিশিষ্ট জনেদের আরও দাবি, ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭০ বছরের পূর্তির আগে সময় এসেছে "আমাদের কাজ, সাফল্য, ব্যর্থতাকে আরও একবার ফিরে দেখা। নিজেদের ভুল সংশোধন করা। ড. আম্বেদকর সংবিধান রচনা করেছিলেন স্বাধীন দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। দেশের নাগরিকদের স্ব-অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। "
"বিশেষ ব্যাপার...":রামকৃষ্ণ মিশন যাওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, একবছর আগে শীর্ষ আদালতের তদানীন্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবিধানের অবমাননা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন J Chelameswar সহ আরও তিন বিচারক। সাবধান করেছিলেন, যেভাবে সংবিধানকে অস্বীকার করা হচ্ছে তাতে ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে ভারতের গণতন্ত্র।