তাঁর মৃত্যুর পর এতদিনের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দ্বিধা করল না পরিবার।
কলকাতা: দশবারের সাংসদ ও লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ হল গতকাল। কিন্তু, মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে তরজা পৌঁছে গেল তুঙ্গে। তাঁর মৃত্যুর পর এতদিনের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দ্বিধা করল না পরিবার।
তাঁর দেহকে বেলভিউ নার্সিংহোম থেকে গতকাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তিনটি স্থানে। কলকাতা হাইকোর্ট, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা এবং তাঁর বসন্ত রায় রোডের বাসভবনে। যেদ ল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে এবং যে দলের চার দশকের বেশি সময়ের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি, সেই সিপিএমের সদস্যদের তাঁর মৃত্যুর পরে তৎপরতা ছিল দেখার মতো।
বিতর্কের শুরু হয় রাজ্য বিধানসভায় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়ার পর। তাঁর কন্যা সেখানে দাঁড়িয়েই সোচ্চার হন সিপিএমের নেতাদের বিরুদ্ধে।
তাঁর বাবার দেহ রাজ্য সিপিএমের সদর দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাখা হবে কি না, তা জানতে চাওয়া হলে সোমনাথ-কন্যা অনুশীলা বসু অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেন, না। কোনওভাবেই তা সম্ভব নয়।
তিনি এটিও বলেন, তাঁর মা ও দাদাও চান না যে কোনওভাবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে নিয়ে যাওয়া হোক। সিপিএমের তরফ থেকে মরদেহে দলীয় পতাকা দেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছিল সোমনাথের পরিবারের কাছে। সেই অনুরোধও পরিষ্কার নাকচ করে দেন তাঁরা।
“আমরা দেখেছি, কতটা অপমানজনক ব্যবহার করা হয়েছিল বাবার সঙ্গে। কীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দেখেছিলাম একদিন, একা একা বসে আছেন নিজের ঘরে, চুপচাপ, আর চোখ দিয়ে জল পড়ে যাচ্ছে। বহিষ্কার হওয়ার দু-একদিন বাদেই। তাই, না। কোনওভাবেই সম্ভব না। সিপিএম কার্যালয়ে বাবার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে না”, বলেন সোমনাথ কন্যা অনুশীলা বসু।
পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বসন্ত রায় রোডের বাড়িতে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়ার পর। পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে সেখানে গেলে সোমনাথ পুত্র প্রতাপ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, “আমার বাবাকে শুষে খেয়েছেন আপনারা। এখান থেকে চলে যান”।
ঘরভর্তি লোকের সামনে এই কথা শুনে পরিস্থিতি আরও জটিল না করার জন্য তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন বিমান।
যাদিও পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ওঁর কথায় কিছুই মনে করিনি। সদ্য পিতৃহারা হওয়ায় তাঁর মন এখন স্থিতিশীল অবস্থায় নেই। আমি এটা বুঝতে পারি”।
.
.
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)