নিউ দিল্লির এইমসে প্রয়াত হলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী।
নিউ দিল্লি: লড়াই শেষ। চলে গেলেন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম কর্ণধার ও দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী। একটু আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নিউ দিল্লির এইমসে। তাঁর বয়স হয়েছিল তিরানব্বই বছর। তিনি গত ন'সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেখানে।
গত চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে দু’বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এইমসে এসেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীকে দেখতে। এছাড়া, গোটা দেশের বহু শীর্ষ নেতাই তাঁকে হয় হাসপাতালে দেখতে এসেছেন অথবা তাঁর আরোগ্যকামনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন। শুধু নেতারাই নয়। তাঁর আরোগ্যকামনা করে পোস্ট করেছেন বহু সাধারণ মানুষও। দিল্লির কনট প্লেসের হনুমান মন্দিরে তাঁর নামে বিশাল যজ্ঞও করা হয়। কিন্তু, কিছুতেই কোনও কাজ হল না। চলে গেলেন দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, কবি ও সর্বোপরি এক অসামান্য রাজনৈতিক বক্তা।
গত দিনকয়েক ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এই তিরানব্বই বছর বয়সী রাজনৈতিক নেতা দলমত নির্বিশেষে সবার কাছ থেকেই একইরকম সম্মান ও শ্রদ্ধা পেয়ে এসেছেন। গত 11 জুন থেকে এইমসে কিডনির সংক্রমণ, বুকে ব্যথা ও মুত্রাশয়ের সমস্যার জন্য ভর্তি ছিলেন তিনি। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল।
2009 সাল থেকেই স্বাস্থ্যের কারণে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়ে নেন তিনি। জনসমক্ষেও বিশেষ আসতেন না। দিল্লির কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাড়িটাতেই বন্দী করে রাখতেন নিজেকে। অটলবিহারী বাজপেয়ী রাজনৈতিক জীবন চলাকালীন এবং রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পর- প্রতিটা সময়েই দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছ থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান পেয়ে এসেছেন। তাঁর জন্মদিন পঁচিশে ডিসেম্বর। ওই দিনটিকে ‘সুশাসন দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
আজ সকাল থেকে বাজপেয়ীকে হাসপাতালে দেখতে আসেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং রাজ্যসভার অধ্যক্ষ ভেঙ্কাইয়া নায়ড়ু।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও তাঁর এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী লালকৃষ্ণ আডবাণীও তাঁকে দেখতে হাসপাতালে আসেন।
.
.
তাঁর মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল ভারতীয় রাজনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।