রবিবার নাইরোবি যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ল এই বিমান। (রয়টার্স)
আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া: রবিবার সকালে নাইরোবিগামী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ছাড়ার ছ'মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। যার ফলে ওই বিমানে থাকা ১৪৯ জন যাত্রী এবং আটজন বিমানকর্মীর মৃত্যু হয়। গোটা বিশ্বের বহু নেতারাই এই অতি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর নিজেদের সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ওই বিমানে ছিলেন ৪ জন ভারতীয়ও। ভারতীয় ছাড়া আরও একত্রিশটি দেশের নাগরিক ছিলেন ওই বিমানে। এমনকী রাষ্ট্রপুঞ্জের পাসপোর্ট থাকা যাত্রীও ছিলেন। নাইবোরিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সংক্রান্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের সন্ধেবেলাতেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা।
রবিবার সকালে ১৪৯ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল ইথিওপিয়ার বিমান
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের একটি শহর বিশোফতুর ঠিক পাশের টুলু ফারার গ্রামে ভেঙে পড়ে এই বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ম্যাক্স বিমানটি। “সকাল ৮:৪৪ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে”, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তা জানান। যাঁরা এই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন, তাঁদের পরিবারের উদ্দেশে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী টুইটারের মাধ্যমে সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এই কথা জানানো হয়।
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ বিমানের ব্যবহার কেন, পাকিস্তানের কাছে জানতে চাইল আমেরিকা
“সরকার ও ইথিওপিয়ার সমস্ত নাগরিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতদের পরিবারের উদ্দেশে গভীর শোকপ্রকাশ করছে। এই প্রবল খারাপ সময়ে তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। বিমানটি আজ সকালে কেনিয়ার নাইরোবিতে যাচ্ছিল”। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে টুইট করে এই কথা জানানো হয়।
দেখুন পৃথিবীর প্রথম রোবট সংবাদ পাঠিকাকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ফের নজির চিনের
প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স হল আফ্রিকার সবথেকে বড় বিমানসংস্থা। বোল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল আটটা আটত্রিশ মিনিট নাগাদ উড়ে যায় বিমানটি। নাইরোবিতে পৌঁছনোর কথা ছিল সকাল ১০:২৫ মিনিট নাগাদ। কিন্তু, আকাশে উড়ে যাওয়ার ৬ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, প্রায় সমস্ত যাত্রীর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটি তার বিশাল ডানা নিয়ে অনেকটা জায়গা জুড়ে পড়ে রয়েছে ওই গ্রামের ওপর। উদ্ধারকার্য চলেছে এখনও।
এর আগে ২০১০ সালে লেবানন থেকে ওড়ার পর প্রায় এমন একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান। মারা গিয়েছিলএন ৮৩ জন যাত্রী ও বহু বিমানকর্মী।