Read in English
This Article is From Aug 24, 2018

পেটে চৌত্রিশ সপ্তাহের ভ্রূণের আকারের চার কিলো ওজনের টিউমার

দিল্লির এক হাসপাতালে এক রোগীর পেট থেকে ঠিক ওই মাপেরই একটি টিউমর দুটি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বের করা হয়েছে বলে জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

চৌত্রিশ সপ্তাহের ভ্রূণের আকারের টিউমার ছিল পেটে।

নিউ দিল্লি:

পেটের ভিতর টিউমার হয়েছিল। এটি নিঃসন্দেহে একটি কষ্টসাধ্য শারীরিক অবস্থাই বটে। তবে, ‘অভাবনীয়’ নয়। কিন্তু, পেটে হওয়া টিউমরটি যদি একটি চৌত্রিশ সপ্তাহের ভ্রূণের মাপের হয়, তবে তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানও ‘অভাবিত ঘটনা’ বলতে বেশি দ্বিধা করবে না। দিল্লির এক হাসপাতালে এক রোগীর পেট থেকে ঠিক ওই মাপেরই একটি টিউমর দুটি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বের করা হয়েছে বলে জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাতচল্লিশ বছর বয়সী ওই মহিলা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নিউ দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে যান প্রবল পেটে ব্যথা নিয়ে। তাঁর ঋতুস্রাবের সময় অস্বাভাবিক রক্তপাতও হতো গত দশ বছর ধরে, জানান হাসপাতালের এক মুখপাত্র।

“প্রাথমিকভাবে, তাঁর পেট পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁর গর্ভে চৌত্রিশ সপ্তাহের একটি ভ্রূণ বিচরণ করছে। তারপর হাসপাতালের পক্ষ থেকে আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করে জানা যায়, তা আসলে চার কেজি ওজনের এক বিশাল টিউমার, যা, পেলভিস থেকে স্তনের হাড়ের চার ইঞ্চি নীচ অবধি লিভারের সংলগ্ন স্থান জুড়ে রয়েছে”। হাসপাতালের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়।  

সম্প্রতি একটি বিশেষ মেডিক্যাল জার্নালে এই ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিশদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঠিক কীভাবে হাইব্রিড টেকনিক অথবা দ্বৈত প্রযুক্তির সাহায্যে পেট থেকে ওই বিশাল টিউমারটি বের করা সম্ভব হয়েছিল চিকিৎসকদের পক্ষে।   

Advertisement

এই বিশাল টিউমারটি আকার, তার অনিশ্চিত অবস্থান ও সেটির ম্যালিগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা- এই তিনটি বিষয়ই চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল চিকিৎসকদের। কীভাবে তাঁরা টিউমারটি পেট থেকে বের করবেন তা নিয়ে বহু আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

“আমাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ওই বিশাল টিউমারটা শরীরের ভিতর থেকে একবারে অপারেশন করে বের করা। কারণ, আমরা কোনওরকম ঝুঁকি নিতেই চাইছিলাম না ওই সময়। এছাড়া, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হ্রাস করে তাকে সীমিত অবস্থায় নিয়ে আসাও ছিল আমাদের কাছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা তা সম্পন্ন করতে পেরছি, সেটাই আনন্দের”, বলেন ওই হাসপাতালের স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস দত্ত। 

Advertisement
Advertisement