This Article is From May 28, 2018

মালয়েশিয়ার চিড়িয়াখানায় প্রথমবার দর্শকদের সামনে দেখা দিল চার মাসের পান্ডা শাবক 

একটি কাঁচের ঘেরাটোপে শিশুটিকে রাখা হয়েছে যেখানে সেটি হামাগুড়ি দিয়ে মাঝে মাঝে এগিয়ে যাচ্ছে চিত্রগ্রাহকদের দিকে। তবে বেশিরভাগ সময়ই সেটিকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে

মালয়েশিয়ার চিড়িয়াখানায় প্রথমবার দর্শকদের সামনে দেখা দিল চার মাসের পান্ডা শাবক 

বাচ্চাটির ওজন 9 কিলোগ্রাম। সেটি খুবই মিষ্টি এবং তার বৃদ্ধিও হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি।

কুয়ালা লামপুর, মালয়েশিয়া: শনিবার মালয়েশিয়ার একটি চিড়িয়াখানায় ক্ষুদে পান্ডা শাবক তার প্রথম দর্শনেই মন জয় করে নিলো দর্শকদের।

চিনের কাছ থেকে ঋণ হিসাবে দুটি জায়ান্ট পান্ডা 2014 সালে মালয়েশিয়ায় আসে। একটি পুরুষ ও একটি মেয়ে। লিয়াং লিয়াং নামক সেই মেয়ে পান্ডাটির এটি দ্বিতীয় সন্তান। পান্ডার এই প্রজাতির মধ্যে স্বাভাবিক প্রজনন ব্যাপারটি সত্যিই বিরল কারণ এরা ভয়ঙ্কর ধরণের অলস ও কুঁড়ে প্রকৃতির। এরা তখনই প্রজননে লিপ্ত হয় যখন এরা সত্যিই উৎসাহ অনুভব করে। কাজেই এই শিশুটির জন্ম সত্যিই বিরল ঘটনা।

তিনজনের এই পান্ডা পরিবার এখন সুস্থ আছে জানালেন জাতীয় চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ম্যাট নাঈম রামলি।

তিনি জানান যে বাচ্চাটির ওজন 9 কিলোগ্রাম। সেটি খুবই মিষ্টি এবং তার বৃদ্ধিও হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি।
ইতিমধ্যেই সেটি অল্প অল্প করে নড়াচড়াও করতে পারছে।

পান্ডা শাবকটির দিদি নুয়ান নুয়ান -এর জন্ম হয় 2015 সালে এবং সেটিকে চুক্তি অনুযায়ী গত বছর নভেম্বরে চিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেজিং এর চুক্তি অনুযায়ী চিড়িখানায় জন্মানো যে কোনো পান্ডা শাবককে 2 বছরের মধ্যে ফেরত পাঠাতে হবে চিনে। 

একটি কাঁচের ঘেরাটোপে শিশুটিকে রাখা হয়েছে যেখানে সেটি হামাগুড়ি দিয়ে মাঝে মাঝে এগিয়ে যাচ্ছে চিত্রগ্রাহকদের দিকে। তবে বেশিরভাগ সময়ই সেটিকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

ম্যাট জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে এটির খাদ্য কেবলমাত্র মায়ের দুধ।

চাইনিজ এম্বাসেডর বাই টিয়ান জানিয়েছেন যে পান্ডাটি সুস্থ ও আরামে আছে দেখে তিনি খুবই খুশি।
তিনি এও জানান যে একটি অনলাইন প্রতিযোগিতাও করা হবে এই ক্ষুদে পান্ডার নাম রাখার জন্য।

প্রসঙ্গত, লিয়াং লিয়াং এবং জিং জিং এই দুই পান্ডা 10 বছরের লিজ-এ মালয়েশিয়ায় আসে। চিরিয়াখানাটি প্রায় 56,000 রিঙ্গিট প্রতি মাসে খরচ করে এই পান্ডা সেন্টারটি পরিচালনা করার জন্য।

'ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কোনজারভেশন অফ নেচার' বা IUCN এ জায়ান্ট পান্ডাকে লুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আনুমানিক 2000 পান্ডা এখন অবশিষ্ট আছে চিনের জঙ্গলে।




 
.