নিপাহ ভাইরাসের কোনও টিকা নেই, জানিয়েছে হু।
প্রথম যে পরিবারের মধ্যে ধরা পড়েছিল নিপাহ ভাইরাস এবং যে পরিবারের এক সদস্যের চিকিৎসা করতে গিয়েই ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কেরলের নার্স লিনি, আজ সেই পরিবারের চতুর্থ সদস্য মারা গেলেন। কোঝিকোড়ের গ্রামের এই পরিবারটিকেই এই বিরল ভাইরাস ঘটিত রোগের উপকেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃতের সংখ্যা 12। সরকারি কর্মকর্তারা ওই বাড়িটির কুয়োর মধ্যে থেকে প্রচুর মৃত বাদুর উদ্ধার করেছে। ওই পরিবারের সেবা করছিলেন 31 বছর বয়সী নার্স লিনি পুথুসসেরি। যিনি গত সোমবার এই বিরল ভাইরাস-ঘটিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর আগে একটি নোট লিখে গিয়েছিলেন তিনি তাঁর স্বামীর উদ্দেশে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বহু মানুষের হৃদয়কে বেদনামথিত করে তোলে।
- 62 বছর বয়সী ভি মুসা বৃহস্পতিবার কোঝিকোড়ের সেই হাসপাতালে মারা যান, যেখানে গত সপ্তাহে তাঁর দুই ছেলে এবং এক শালী মারা গিয়েছিলেন। “ভেন্টিলেটরে এক সপ্তাহ থাকার পর আজ সকালে মারা যান তিনি”। বলেন কেরলের এক স্বাস্থ্যকর্তা।
- নার্সিং সহকারী এবং দুই সন্তানের মা লিনি পুথুসসেরি এই ভাইরাস-ঘটিত রোগে প্রথম দুজন আক্রান্তের চিকিৎসা করার দলটিতে ছিলেন।
- নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আরও দুটো ঘটনা সামনে এসেছে। আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
- প্রতিবেশি কর্ণাটকের দুজনকে নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্ত সন্দেহে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তারা কেরল থেকে ফেরার পরই তাদের মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
- নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে অন্তত 17 জনের চিকিৎসা চলছে এখন। কেরলের মন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেছেন, “ভাইরাস যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য সমস্তরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে”।
- নিপাহ একটি বিরল ভাইরাস যার বাহক বাদুর। বিশেষত, যে বাদুররা ফল খেয়ে বেঁচে থাকে, তারাই। যার ফলে ফ্লু-য়ের মতো উপসর্গ এবং মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া, শ্বাসের নেওয়ার সময় অস্বাভাবিক কষ্ট, জ্বর, মাথাব্যথা, তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, বিভ্রান্তি ইত্যাদি ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। রোগী 48 ঘন্টার মধ্যে কোমাতে চলে যেতে পারে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে এই রোগের কোনও টিকা নেই।
- যে আটটি রোগ হু-য়ের মতে, গোটা পৃথিবীতে মহামারী নিয়ে আসতে পারে, নিপাহ তাদের মধ্যে একটি।
- গোটা কেরলে এই নিয়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কোঝিকোড়ে খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি কন্ট্রোল রুম।
- যদিও, এর ফলে পর্যটকদের কেরলে আসায় কোনও বাধা নেই। এই রোগ এখনও পর্যন্ত কেবল একটি স্থানীয় এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বলেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সদানন্দন।