সরকারি সূত্র বলছে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ।
হাইলাইটস
- সরকারের কার্যকলাপের প্রতিবাদে ফ্রান্স জ্বলছে
- প্যারিস থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রতিনিয়ত তীব্র হচ্ছে জনরোষ
- শুধু শনিবারই গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন
সরকারের কার্যকলাপের প্রতিবাদে ফ্রান্স জ্বলছে। প্যারিস থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রতিনিয়ত তীব্র হচ্ছে জনরোষ। নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শুধু শনিবারই গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল পর্যন্ত ফাটানো হয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। তার মধ্যে প্যারিসেই আন্দোলন করছেন আট হাজার মানুষ।
দূষণে দক্ষিণকে ছাপাল উত্তর কলকাতা, আবহাওয়াকে দুষল পর্ষদ
মুখোশ এবং হাতুড়ি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হন অনেকে।
আন্দোলনকারীদের দাবি একটাই সরকারকে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা ভাবতে হবে। তাঁদের কথা ভেবেই নীতি প্রণয়ন করতে হবে। শুধু বিত্তবানদের কথা ভাবলে হবে না। এই আন্দোলন বলা হচ্ছে ইয়লো ভেস্ট মুভমেন্ট। হলুদ জ্যাকেট পরে আন্দোলন হচ্ছে বলেই এমন নামকরণ। সকলেরই একটা কথা যে দেশে শুধু বড়লোকদের কথা ভাবা হচ্ছে আর প্রান্তিক মানুষের উপর অত্যাচার নেমে আসছে সেখানে থাকব না।
জ্বলানির দাম বাড়ার মত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকেই চলছে আন্দোলন। প্রথমে অবশ্য এত তীব্র আকার ধারন করেনি। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। অন্যদিকে সরকারও তৈরি হতে থাকে। এখন তা আরও বেড়েছে দোকান বাজার থেকে শুরু করে স্টেশন সর্বত্র চলছে তল্লাশি। নিরাপত্তার কারণে আইফেল টাওয়ারও বন্ধ রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভেঙেছে ২০০টি গাড়ি।
রাষ্টপতির ইউটার্ন
আন্দোলন বাড়তে থাকায় নিজেদের কিছু সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে সরকার। রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেন নতুন করে জ্বালানির খরচ বাড়বে না। গ্যাস এবং বিদ্যুতের খরচও বাড়বে না। কিন্তু এতেই স্তব্ধ হচ্ছে না আদোলন। আরও কয়েকটি দাবি পেশ হয়েছে ইতিমধ্যেই ।
বড়লোকের রাষ্টপতি
দেশের সবচেয়ে বিত্তবানেদের কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর এটাই আন্দোলনের বড় কারণ। তবে সরকারের দাবি বেশি করে বিনিয়োগ আনতে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল আবশ্যক।