This Article is From Aug 21, 2019

পাকিস্তানকে ফোন করে “স্থিতাবস্থা” ফেরানোর আহ্বান ফ্রান্সের মন্ত্রীর

কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবের পরেই বিবৃতি ফ্রান্সের

পাকিস্তানকে ফোন করে “স্থিতাবস্থা” ফেরানোর আহ্বান ফ্রান্সের মন্ত্রীর

পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির সঙ্গে কথা বলেন ফরাসি বিদেশমন্ত্রী Yves Le Drian

নয়াদিল্লি:

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশিকে ফোন করে "স্থিতাবস্থা ও উত্তেজনা" কমানোর আহ্বান জানাল ফ্রান্স (France)। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “উত্তেজনা বাড়তে পারে, এমন কোনও পদক্ষেপ রুখতে এটা খুবই জরুরি”। মঙ্গলবার পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রীকে ফোন করেন ফ্রান্সের ইউরোপ ও বিদেশমন্ত্রক বিষয় মন্ত্রী Jean-Yves Le Drian, তারপরেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে ফরাসি মুখপাত্র বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয় তুলেছেন মন্ত্রী। কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে শান্তি বজায় রাখতে এবং সমস্যা মেটাতে তাঁদের দ্বিপাক্ষিক কথোপকথনে, ফ্রান্সের অবস্থান তুলে ধরেছেন Jean-Yves Le Drian। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “স্থিতাবস্থা রক্ষা, উত্তেজনা কমানো, পরিস্থিতি শান্ত করতে জন্য এক পক্ষকে ফোন করেছে ফ্রান্স। উত্তেজনা বাড়াতে পারে, এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি”।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্ত ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থানের পক্ষে পাকিস্তান গোটা বিশ্ব থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে।

কাশ্মীর নিয়ে আবারও মধ্যস্থতার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট Donald Trump-র

মঙ্গলবার, ইসলামাবাদ বলেছে যে তারা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের কাছে যাবে - যেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় কুলভূষণ যাদব মামলায় মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান।

কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়ার পরেই ফ্রান্সের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতি দেওয়া হল। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কাশ্মীরের "উত্তেজক" পরিস্থিতির মোকাবিলায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এটি একটি "অত্যন্ত জটিল জায়গা"। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুজনের সঙ্গেই ফোনালাপের একদিন পর ট্রাম্প বলেন যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টায় সহায়তা করতে পেরে তিনি খুশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অস্বস্তিকর সম্পর্কের অন্যতম প্রধান কারণ ধর্ম । "আমি মধ্যস্থতা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব," বলেন তিনি। "এখানে হিন্দু এবং মুসলমান, দুটি পক্ষ রয়েছে এবং সত্যি বলতে গেলে, এটি একটি খুব উত্তেজক পরিস্থিতি," একথাও বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কাশ্মীর পদক্ষেপে অখুশি অমর্ত্য সেন, "ভারতীয় হিসাবে গর্বিত নই", বললেন তিনি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট একথাও বলেন যে নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান,  দুজনের সঙ্গেই তাঁর 'দুর্দান্ত সম্পর্ক' রয়েছে। "তবে এই মুহুর্তে ওই দুজন ঠিক বন্ধু নন। ধর্মীয় কারণে সৃষ্টি হওয়া জটিল পরিস্থিতির সমাধানে অনেক কিছুই করার দরকার। ধর্ম একটি জটিল বিষয়"।

গত মাসেই হোয়াইট হাউসে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে যখন ট্রাম্প প্রথম মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন ভারত কাশ্মীরের বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে নিজের অবস্থান জানায়।

গত সপ্তাহে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান এই বিষয়টিকে উত্থাপন করার পরে বেশিরভাগ অংশগ্রহীতা দেশই একমত হয় যে এটি নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়। পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং ১০ টি অস্থায়ী সদস্য -মোট ১৫ টি দেশের বৈঠক কোনও সমাধান ছাড়াই শেষ হয়।

.