বন্ধুর পুজোয় উপস্থিত তিন নেতা-মন্ত্রী
কলকাতা: আজ দিনটা ভীষণ মিষ্টি। পুরনো বন্ধুত্বকে নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়ার দিন (Friendship Day 2019)। আজ সবাই সকাল থেকে মনে করছেন, ডাক পাঠাচ্ছেন, শুভেচ্ছা বিনিময়ে করছেন সেই সব বন্ধুদের যাঁরা প্রত্যেকের জীবনে অতি মূল্যবান। সোশ্যালে, মুঠোফোনে মেসেজ, ভিডিও দেওয়া-নেওয়ার সঙ্গে ছুটির দিনে খোশমেজাজে অনেকেই বন্ধুদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন দিনটাকে উৎযাপন করতে। অনেকে আবার বাড়িতেই বসিয়ে দিয়েছেন জমাটি আড্ডা। খানাপিনার পাশাপাশি উপহারের ঝুলিও থাকছে না শূন্য। তারই মধ্যে রাজ্যের শাসকদলের চার প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রী ফ্রেন্ডশিপ ডে পালন করলেন একদম ভিন্ন ভাবে। এঁরা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovondeb Chatterjee), স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya), মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার (Debasish Kumar)। একডালিয়া এভারগ্রিনের খুঁটিপুজোয় এই চার মহারথী রবিবাসরীয় সকালে এক ছাদের নীচে। এবং প্রত্যেকেই জানালেন, আজ তাঁরা মন্ত্রী নন, আজ তাঁরা শুধুই একে অপরের বন্ধু। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে তাঁদের অনুরোধ, বন্ধুত্বের বন্ধনে গোটা রাজ্যকে আবদ্ধ করার।
Friendship Day 2019: 'এমন বন্ধু আর কে আছে, তোমার মতো সিস্টার'! কারা বলেন?
আজকের দিন নিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত, বিশেষ দিন বলেই আজকের দিনে এই খুঁটিপুজোর আয়োজন। যাতে পাড়ার, অঞ্চল এবং ওয়ার্ডের মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বন্ধুত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারেন। উৎসবে এক হওয়া মানেই তো বন্ধুত্বের উদযাপন! প্রসঙ্গত, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজকের এই খুঁটিপুজোয় উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও। তাঁদেরকেও সাদরে অভ্যর্থনা জানান পুজো কমিটির সদস্যরা।
বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজকে বন্ধুত্বের দিন বলেই বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সকাল সকাল চলে এসেছি সুব্রত-র পুজোয়। রাজ্যে-দেশে হয়ত সামান্য শান্তি বা সৌহার্দ্যের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। তবে তা সাময়িক। খুব শিগগিরিই আবার ফিরে আসবে শান্তি-সম্প্রীতি।
Happy Friendship Day: আড্ডা জমবে সেখানে এই ৫ খাবার থাকবে যেখানে
একই সুর শোনা গেল মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের কথাতেও। তাঁর মতে, শুধু একটা দিন নয়, রোজই হোক বন্ধুত্বের দিন। রাজ্যের সব মানুষ সুখে-দুঃখে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চললে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে রাজ্য বা দেশে কখনোই অশান্তি-অসহিষ্ণুতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।