தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jan 07, 2020

‘‘জেএনইউতে হামলা চালিয়েছি আমরাই’’: সব দায় স্বীকার করে নিল হিন্দু রক্ষা দল

হিন্দু রক্ষা দলের নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘জেএনইউ জাতীয়তা-বিরোধী ক্রিয়াকলাপের আখড়া। আমরা এটা বরদাস্ত করব না। জেএনইউয়ের হামলার সম্পূর্ণ দায় আমরা নিচ্ছি।’’

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

JNU mob attack: হামলার দায় স্বীকার করল হিন্দু রক্ষা দল।

নয়াদিল্লি:

রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) চত্বরে মুখোশধারী দুষ্কৃতীর দল হাম‌লা (JNU Attack)চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর। সেই ঘটনার নিন্দায় মুখর গোটা দেশ। এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলি পরস্পরের দিকে দোষারোপের আঙুল তুলেছে। এই অবস্থায় হামলার দায় স্বীকার করল হিন্দু রক্ষা দল (Hindu Raksha Dal )। দলের তরফে তাদের এক নেতা পিঙ্কি চৌধুরী জানিয়েছেন, সেদিনের হামলার সম্পূর্ণ দায় তাঁরা স্বীকার করে নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, সেদিনের হামলায় আহতের সংখ্যা ৩০-এরও বেশি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে পিঙ্কি চৌধুরী বলেন, ‘‘জেএনইউ জাতীয়তা-বিরোধী ক্রিয়াকলাপের আখড়া। আমরা এটা বরদাস্ত করব না। জেএনইউয়ের হামলার সম্পূর্ণ দায় আমরা নিচ্ছি এবং জানিয়ে দিচ্ছি ওরা (হামলাকারীরা) ছিল আমাদেরই কর্মী।''

ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে উলটে JNU ছাত্রনেতা ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের!

সমালোচকরা বলছেন, বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি তথা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের উপরে ওঠা অভিযোগকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই হয়তো তার দায় নিতে চাইছে হিন্দু রক্ষা দল।

Advertisement

এদিকে দিল্লি পুলিশ ওইদিন লোহার রড, লাঠি হাতে চত্বরে প্রবেশ করা মুখোশধারীদের ‘ফেস রিকগনিশন' সফটওয়্যারের সাহায্যে শনাক্ত করতে চাইছে। বহু ভিডিও ক্লিপকে স্ক্যান করে মুখোশের আড়ালে থাকা মুখগুলিকে চিনে নিতে চাইছে তারা।

"গেটওয়ে দখল করুন": জেএনইউয়ের পাশে দাঁড়ালেন মুম্বইয়ের পড়ুয়ারা

Advertisement

এই পদ্ধতি বায়োমেট্রিকস ব্যবহার করে কোনও ছবি বা ভিডিওতে প্রদর্শিত মুখকে চিহ্নিত করে অন্য সম্ভাব্য মুখের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করে।

জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী ঐশী ঘোষ, যিনি রবিবারের ঘটনায় গুরুতর আহত হন, তিনি অভিযুক্ত করেছেন এবিভিপিকে। অন্যদিকে বিজেপির ছাত্র সংগঠন আবার দোষ চাপাতে চাইছে বাম ছাত্র সংগঠনের উপরে।

সেদিনের ঘটনার বহু ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। তার মধ্যে একটিকে কেন্দ্র করে এবিভিপির দিকে অভিযোগ জোরালো হয়েছে। একটি ছবিতে এক তরুণকে এবিভিপির জেএনইউ এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য বিকাশ প্যাটেল বলে চেনা যাচ্ছে। তাঁকে সেদিন হামলা চালাতে আসা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে লাঠি হাতে।

Advertisement

এদিকে ঐশী ঘোষ ও আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা শনিবার সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালান ও নিরাপত্তা কর্মীদের আক্রমণ করেন।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ভিতরে পুলিশের ঢুকে পড়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক হওয়ায় রবিবার জেএনইউতে ঢোকার আগে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছিল। এক সরকারি আধিকারিক জানাচ্ছেন, জামিয়া মিলিয়ায় পুলিশকে আক্রমণ করেছিল পড়ুয়ারা। তাদের পাথর ছুঁড়েও মারা হয়। কিন্তু রবিবারের ঘটনা দুই দলের মধ্যে উত্তেজনার ফল।

Advertisement

তিনি আরও জানান, পুলিশ ফোনে খবর পেয়ে জেএনইউতে চলে গেলেও উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাদের ঢোকার অনুমতি দেননি। ফলে সিনিয়র আধিকারিকরা ফিরে যান। 

Advertisement