This Article is From Apr 26, 2020

পালানোর পথ নেই! লকডাউন না মানলে ৫ ফুট দূর থেকেও ধরবে পুলিশ

চণ্ডীগড় পুলিশের ভিআইপি সুরক্ষা শাখা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন (lockdown) অমান্যকারীদের ধরতে অনন্য উপায় খুঁজে পেয়েছে।

পালানোর পথ নেই! লকডাউন না মানলে ৫ ফুট দূর থেকেও ধরবে পুলিশ

এবার যন্ত্র ধরবে লকডাউন অমান্যকারীকে!

নয়া দিল্লি:

রথ দেখা আর কলা বেচা বোধহয় একেই বলে। চণ্ডীগড় পুলিশের (Chandigarh Police) ভিআইপি সুরক্ষা শাখা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন (lockdown) অমান্যকারীদের ধরতে অনন্য উপায় খুঁজে পেয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি উপকরণ তৈরি করা হয়েছে যা তৈরি পাঁচ ফুট দীর্ঘ ধাতব রড দিয়ে। যার মুখের গোড়ায় লাগানো টোভাসের মতো অংশ কোমর আটকে ধরবে অমান্যকারীদের। ডিভাইসের অপর প্রান্তটি আটকানো থাকবে পুলিশের বাহুতে। যিনি স্লাইডিং স্টিক হিসেবে এটিকে পরিচালনা করবেন। অর্থাৎ, আইন ভঙ্গকারীকেও ধরা হল। আবার তাঁকে ছুঁতেও হল না! 

মহাকাশে ছুটছে মাস্ক পরা গ্রহাণু! করোনার ভয়ে পৃথিবী ছেড়ে পালাচ্ছে?

চণ্ডীগড় পুলিশ প্রধান সঞ্জয় বানওয়াল টুইটে যন্ত্র দিয়ে ধরার ছবি শেয়ার করে দেখিয়েছেন, কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যন্ত্রের খপ্পরে পড়বে আইন অমান্যকারী। ক্যাপশনে লিখেছেন, আইন অমান্যকারী এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরার জন্য এর থেকে ভালো উপায় আর হয় না! দারুণ যন্ত্র বানিয়েছেন ইন্সপেক্টর মনজিৎ, গুরদীপ, পবন আর ঊষা।

দেশব্যাপী লকডাউন সত্ত্বেও অনেকে বিধি লঙ্ঘন করেছে এবং রাস্তায় বেরিয়েছে। পুলিশ "আমি দোষী" প্ল্যাকার্ড হাতে ধরিয়ে তাদের ভিডিও এবং ফটো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করেছে। অপরাধীদের ধরতে তারা কয়েকটি এলাকায় ড্রোনও ব্যবহার করেছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১,৯৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে (Coronavirus)। একদিনে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড এটাই। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ২৬,৪৯৬-এ। মৃত ৮২৪। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Union Health Ministry) একথা জানিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রক। প্রায় ৬৮ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে ২৭ টি জেলায়। সরকারি তথ্য এমনটাই জানাচ্ছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে ক্লাস্টার হিসেবে।

২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংক্রমণ! ২৬,০০০ পেরোল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত ৮২৪

এই ২৭ জেলা রয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও অন্যান্য রাজ্যে। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ১৩.৮ শতাংশ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। মহারাষ্ট্রের মোট আক্রান্তের ৪৭.৬ শতাংশ মুম্বইয়ের বাসিন্দা। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। এর মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ আহমেদাবাদের বাসিন্দা।

Click for more trending news


.