চরম ঔদাসীন্য ইতালির মৃত্যুনগরী হওয়ার কারণ
কলকাতা: কেউ কেউ চুড়ান্ত সতর্কতা মানছেন। বেশির ভাগই এখনও চরম উদাসীন। লকডাউনের গুরুত্ব না বুঝে চায়ের ঠেকেসকাল-বিকেল আড্ডা দিতে বেরোচ্ছেন অনেকেই। লকডাউনের রাতেই নিয়ম ভেঙে গরাদের পেছনে ২৫৫ জন। জরিমানা, জেলের রক্তচক্ষুও ঘরবন্দি মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। সবাই বলছেন, ভারতের পরিসংখ্যান আর এমন কী! একটু আধটু বেরোলে কী হবে। কিংবা নিছক অ্যাডভেঞ্চারের নেশাতেও অল্পবয়সীরা পায়ে পায়ে বেরিয়ে পড়ছেন। ঠিক এই দশা নাকি হয়েছিল ইতালির (Italy)। জানুয়ারি মাসে কিছু টুকরো খবর। তখন করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) পাত্তা দেয়নি কেউ। সবারই মনে হয়েছিল, চিন সে দেশ থেকে অনেক দূরে! ফেব্রুয়ারি মাসে তারই বেশ বড়সড় আকার। আপাতত মৃত্যুনগরী সেই দেশ। কী হয়েছিল, কী না হলে নাও হতে পারত এমন---সোশ্যালে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার খুঁটিনাটি শেয়ার করলেন ইতালির বাঙালিনী শিক্ষিকা পিঙ্কি সরকার (Pinkey Sarkar)। একই সঙ্গে মাতৃভূমি ও সেখানকার বাসিন্দাদের (Indians) প্রতি কাতর মিনতি, ইতালিকে দেখে শিখুন। এই ভুল আপনারা করবেন না। আরেকটা ইতালি বানাবেন না নিজেদের দেশকে---
ঠিক কী ঘটেছে ইতালির সঙ্গে? দক্ষিণ ইতালি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকার কথায়, জানুয়ারিতেকেউ সেভাবে পাত্তা দেননি করোনাকে। বুঝতেই পারেননি রোগের গুরুত্ব। ফলে সংক্রমণ ছড়াতে ছড়াতে এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে বিনা নোটিশে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে সবাই ছুটির মুডে টাইমপাস করতে থাকেন রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বাজার-হাটে। কার্ফু জারির পরেও সবাই ভেবেছিলেন ঠিক হয়ে যাবে। মাত্র এক মাসের মাথায় সংখ্যাটা ৪০ হাজারের উপরে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৬ হাজারেরও বেশি।
পিঙ্কি নিজে শেষ বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন ২৬ ফেব্রুয়ারি। শেষ যেদিন বেরিয়েছিলেন সেদিন সকালেই বিল পাশ হয়েছিল, মিউনিসিপ্যাল জোনের বাইরে যাওয়া যাবে না। শিক্ষিকা, তাই পুলিশ সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছিল। তারপর থেকে তিনি গৃহবন্দি। জানিয়েছেন, এভাবে প্রথম কিছুদিন ভালো লাগে। তারপর চেপে ধরে অবসাদ। সেই ফেজ ভীষণ মারাত্মক।
সঙ্গে পিঙ্কির এটাও সতর্কবাণী, তবু নির্দেশ মানতে হবে। না হলে আরেকটা ইতালি হবে ভারতও। ইতালির উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবাও হার মেনেছে করোনার কাছে।
Click for more
trending news