দেশের বিভিন্ন রাজ্য যখন নিজের নিজের মতো করে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুঝছে ঠিক সেই সময় বিনা নোটিসেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেনগুলো রাজ্যে (West Bengal) পাঠিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলছে ভারতীয় রেল, অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভারত জুড়ে লকডাউনের মধ্যেও লাগাতার করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে বিভিন্ন রাজ্যে। দেশের মধ্যে যখন সবচেয়ে সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্র তখন সেখান থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে করে এরাজ্যে ফেরত পাঠিয়ে আসলে "বাংলায় করোনা ছড়াচ্ছে" ভারতীয় রেল, এমন বিস্ফোরক অভিযোগও করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্টেশনেই মরে পড়ে আছে মা, অবুঝ শিশু চেষ্টা করছে জাগাতে!
মোট ২২৫ টি ট্রেন ভারতের নানা রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ৪১ টি শ্রমিক স্পেশাল আসবে শুধু মহারাষ্ট্র থেকেই। আর ওই রাজ্যেই এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক করোনা ভাইরাসের রোগী রয়েছে। আর তাই নিয়েই শঙ্কিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
নাগরিকদের নিয়ে ২২৫টি পরিযায়ী ট্রেন ঢুকছে বাংলায়! উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের
এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র ১৯ টি ট্রেন এরাজ্যে এসেছে। কিন্তু সেই শ্রমিকদের মধ্যে থেকেই অনেকে করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েছেন। রাজ্যের উত্তরভাগেও বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুরে যে পরিযায়ীরা ফিরেছেন তাঁদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লাগাতার বাড়ছে।
"আমি জানি না কেন রেলমন্ত্রক এমন করছে। আমি কীভাবে ২ লক্ষ পরিযায়ীদের স্ক্রিন করব? কেন্দ্র কী সহায়তা করবে?", উদ্বেগের স্বরে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "এই রাজনীতি তো সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে। আমি কি ঘূর্ণিঝড় এবং করোনার সঙ্গে লড়াই করব নাকি রাজনীতি করবো? এটা খুবই বাড়াবাড়ি হচ্ছে"।
"আমরা পরিযায়ীদের ফেরানোর জন্যে বিশেষ ট্রেনগুলিরএকটি তালিকা এবং সময়সূচি দিয়েছিলাম কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে বলা হয় যে ৩৬ টি ট্রেন এখন বাংলার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র জানিয়েছে, এবিষয়ে তারাও নাকি অন্ধকারে ছিল। এটাতো রাজনীতি হচ্ছে।"
মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ স্বরে বলেন, "কেন ট্রেনগুলিতে কোনও সামাজিক দূরত্ব নেই? আমরা টিকিটের জন্য অর্থ দিচ্ছি। তবে কোচগুলিতে এত যাত্রী কেন? আপনারা তো দেখছি মহারাষ্ট্র থেকে করোনা রোগীদের সরিয়ে নিয়ে বাংলায় ছড়িয়ে দিতে চাইছেন"।