জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, মানুষ চাইছে আমরা একসঙ্গে থেকেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাই।
নিউ দিল্লি:
উত্তরপ্রদেশের ক্যারানায় লোকসভা উপনির্বাচনে তাঁদের দলের তব্বাসুম হাসান বিজেপির কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট আসনটি ছিনিয়ে নেওয়ার পর আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী এনডিটিভিকে বললেন, 2019’র লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় পর্যায়ে বিজেপির বিরূদ্ধে লড়তে গেলে বিরোধীদের যে মহাজোট হবে, তার কেন্দ্রে থাকবে কংগ্রেস।
জাঠ সম্প্রদায়কে ঐতিহ্যগতভাবে তাদের সবথেকে শক্তিশালী সমর্থক মনে করা আরএলডি ক্যারানার উপনির্বাচনে বেশ কিছু অ-বিজেপি দলের সমর্থন পেয়েছিল। তাদের মধ্যে রয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি এবং কংগ্রেস। তাদের জোটের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, 2019’র আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দল যদি মহাজোট গড়ে, তাহলে বিজেপি লড়াই অতটা সহজ নাও হতে পারে।
জয়ন্ত চৌধুরী কয়েকটি উপদেশও দিয়েছেন ভারতের সবথেকে পুরনো রাজনৈতিক দলকে।এমন বেশ কিছু রাজ্য আছে, যেখানে আঞ্চলিক দলগুলো বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে ভয় পায় না। কিন্তু, এরকমও বহু রাজ্য রয়েছে, যেখানে মূল লড়াইটি কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ঠিক এই জায়গা থেকেই, তিনি বলেন, কংগ্রেস অন্যান্য রাজ্যের দলগুলোকে নিজেদের জোটের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
"ভোটারের থেকে তো সিআরপিএফ বেশি ছিল", উপনির্বাচনে বিশাল জয়ের পর তোপ দাগলেন মমতা “রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ এবং আরও অনেক রাজ্যে কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী দল, সেখানে তো তারা আঞ্চলিক দলগুলোকে এই জোটের অন্তর্ভুক্ত করতেই পারে”। বলেন তিনি।এই ধারণাটিরই বিস্তৃত বর্ণনা দিয়েছেন জয়ন্ত চৌধুরী। এবং আরও বলেছেন, বিএসপি বা তাঁর দল আরএলডির মতো আঞ্চলিক দলকে নিয়ে জোট গড়ার কথা ভাবা উচিত কংগ্রেসের। এমনকি, যে যে রাজ্যে তারা একাই লড়ছে, সেখানেও।
“ওদের ( কংগ্রেস ) জোট করতেই হবে। এই দেশে এমন বহু আঞ্চলিক দল এবং আঞ্চলিক নেতা আছে, যারা কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তাদের শুধু একটু সম্মান দিতে হবে। আর, একটা মঞ্চ দিতে হবে। ব্যাস”। বলেন জয়ন্ত চৌধুরী।কিন্তু, প্রশ্ন এখন একটাই, বিজেপি বিরোধী দলগুলোর মহাজোটের স্বার্থে কংগ্রেস কি একটু পিছিয়ে আসতে আগ্রহী?
যদিও, কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি এই ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, হ্যাঁ। তৈরি। এই ব্যাপারে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিএসের কুমারস্বামীকে সমর্থন দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার ঘটনাটির উদাহরণ দেন তিনি।