শনিবার দলের রাজ্য কমিটি সিএএ-পন্থী একটি পদযাত্রার আয়োজন করেছিল। বুথ-স্তরের ওই পদযাত্রা গুয়াহাটির খানাপাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়
হাইলাইটস
- দলের রাজ্য কমিটি সিএএ-পন্থী একটি পদযাত্রার আয়োজন করেছিল।
- সেই পদযাত্রায় প্রায় এক লক্ষ দলীয় কর্মীর জমায়েত হয়েছিল, দাবি বিজেপির
- সিএএ-বিরোধী নাগরিক আন্দোলনের পর, এটাই বিজেপির প্রথম সিএএ-পন্থী পদযাত্রা
গুয়াহাটি: অসমে (Asam) ব্যাপক সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন বিজেপির (BJP)। শনিবার দলের রাজ্য কমিটি সিএএ-পন্থী (Pro-CAA) একটি পদযাত্রার আয়োজন করেছিল। বুথ-স্তরের ওই পদযাত্রা গুয়াহাটির (Guwahati) খানা পাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়। সেই পদযাত্রায় প্রায় এক লক্ষ দলীয় কর্মীর জমায়েত হয়েছিল, বলে বিজেপি সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা, সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব-সহ ওই শহর থেকে নির্বাচিত সংসদ ও তৃণমূল স্তরের কর্মীরা এদিনের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন। গুয়াহাটিতে সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) ব্যাপক নাগরিক আন্দোলনের পর এটা বিজেপির (BJP) প্রথম সিএএ-পন্থী পদযাত্রা, দাবি দলীয় সূত্রের।
সিএএ: গুয়াহাটির ম্যাচের আগে কী বললেন বিরাট কোহলি
উপস্থিত জমায়েতের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, 'কংগ্রেস সিএএ-কে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে। মিথ্যা তথ্য পরিবেশনা করছে।এই আইন সেসব উদ্বাস্তুদের জন্য যাঁরা বহুদিন ধরে এদেশে আছেন। তাদের জন্য না, যাঁরা সম্প্রতি এসেছেন।' তিনি বলেছেন, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ আর সিএএ-কে জুড়তে চাইছে কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস বলছে কাশ্মীরকে দেখেছেন? ওখানে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছে। এবার ভাবুন অসমের কী হবে? ওদের কাশ্মীরে যেতে দিন। ওরা গিয়ে দেখে আসুক সে রাজ্যের মানুষ কত ভালো আছে, আবেদন তাঁর।
সিএএ বিলোপের কোনও প্রশ্নই নেই, রাজস্থানে কংগ্রেসকে তোপ অমিতের
সিএএ লাগু হলে অসমের জনজাতির ওপর প্রভাব পড়বে। উদ্বাস্তুরা নাগরিকত্ব পেলে, বেকারত্ব বাড়বে, এই আশঙ্কায় এখনও বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্ত অসম। সেই আশঙ্কা দূর করতে এদিন গুয়াহাটিতে পদযাত্রা শেষে ব্যাপক সভা করল বিজেপি, দাবি সূত্রের। এদিন এক বিজেপি কর্মী এনডিটিভিকে বলেছেন, 'গ্রাম থেকে গ্রামে, সচেতনতা বাড়াতে এই কর্মসূচি।' এদিকে, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেছেন, প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্যে সিএএ লাগুর বিরোধিতা করতে একটা প্রস্তাবনা আনবে। বৃহস্পতিবার একই ভাবে কেরালা বিধানসভা প্রস্তাবনা এনেছিল।জানা গেছে, এই আইনে ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণিত হবে।তিন পড়শি মুসলিম রাষ্ট্র থেকে এদেশে আসা সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্ব পাবেন। যদি তাঁরা ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসেন। বিরোধীদের দাবি, এই আইন মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আর সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।