কয়েকটি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসাও করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক স্তরের পঠন পাঠনের 'কঙ্কালসার ' ছবি উঠে এলো অমর্ত্য সেনের সংস্থা প্রতীচী ট্রাস্ট্রের রিপোর্টে। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসাও করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। কিন্ত বেশিটাই জুড়েই রয়েছে হতাশার ছবি।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের এই সংস্থা রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলির পঠন পাঠনের মান খতিয়ে দেখে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে শিক্ষার সঙ্গে জড়িত নানা বিষয়। প্রথমেই বলা হয়েছে ছাত্র- শিক্ষক অনুপাতের কথা। রিপোর্ট বলছে মাত্র এক দশক আগে 49 জন ছাত্রছাত্রীর জন্য ছিলেন একজন শিক্ষক। এখন রাজ্যের কোনও কোনও জায়গায় সেই সংখ্যাটা কমে হয়েছে 23। তবে সেটা সামগ্রিক চিত্র নয় কারণ এমন অনেক জায়গারও সন্ধান মিলেছে যেখানে এই অনুপাত আজ চল্লিশ বা তার থেকেও বেশি।
স্কুল গুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে টাকার অভাবও একটা বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। সংস্থার দাবি প্রতি মাসে গড়পত্তা ঘাটতি 69,000 টাকা। এর মধ্যে 33,000 টাকা দৈনন্দিন কাজে [প্রয়োজন হয়। আর বাকিটা লাগে অন্য কাজে। এর মধ্যে আছে খেলাধুলোর সামগ্রী কেনার খরচও। টাকার জন্য সেটাও আটকে আছে বলে দাবি রিপোর্টের।
পড়ুয়াকে স্কুলে আনতে বেশ কয়েক বছর আগেই চালু হয়েছে মিডডে মিল। আর রিপোর্ট বলছে এ ব্যাপারে কিছুটা এগিয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি। তবে পুরো কাজ হয়নি এখানেও। এখন একজন পড়ুয়াকে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে তা বানাতে খরচ 4 টাকা 13 পয়সা। কিন্ত এখনকার বাজারদর অনুযায়ী 7.14 টাকার কমে পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যায় না বলে দাবি প্রতীচীর। রিপোর্টে শিক্ষকের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের চার শতাংশ স্কুলে রয়েছেন মাত্র একজন করে শিক্ষক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)