ইসরোর সম্পদ ভাগ করা হবে বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে। শনিবার জানালেন অর্থমন্ত্রী।
নয়াদিল্লি: ইসরোর মহাকাশ গবেষণা (ISRO) পরিকাঠামোয় বড়সড় সংস্কার আনল কেন্দ্র। এবার থেকে বেসরকারি সংস্থা ও স্টার্টআপ (Start-Up) ব্যবহার করতে পারবে ইসরোর পরিকাঠামো ও সম্পদ। ইসরোর মুখাপেক্ষী সেই সংস্থাগুলোর ক্ষমতা আরও উন্নত করতে এই সিদ্ধান্ত, শনিবার জানান অর্থমন্ত্রী (Finance Minister)। তিনি বলেছেন, "গ্রহ পরিভ্রমণ আর মহাকাশ সফরের সুযোগ বেসরকারি সংস্থার জন্য খুলে দেওয়া হলো।" এদিন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ লক্ষ-কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের চতুর্থ দফার বাজেট বরাদ্দ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, "ইসরো ভারতের গর্ব। পাশাপাশি অনেক বেসরকারি সংস্থা উদ্ভাবন পরিকল্পনা নিয়ে ইসরোর দ্বারস্থ হয়েছে। আমরা; তাদের ইসরোর সম্পদ; প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিলাম। যৌথ উদ্যোগে মহাকাশ গবেষণাকে সুউচ্চ স্থানে পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ।"
বাড়লো প্রতিরক্ষা খাতে এফডিআই মাত্রা, ৪৯% থেকে হলো ৭৯%, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
এদিন তিনি আরও বলেছেন, "মহাকাশ গবেষণায় যোগ দিতে স্টার্টআপ আর বেসরকারি সংস্থাগুলো বিদেশের দ্বারস্থ হচ্ছে। এর ফলে ভারতের বহু তথ্য বাইরে চলে যাচ্ছে। সেই প্রবণতা ঠেকাতে এই উদ্যোগ।" তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন; মহাকাশ গবেষণা একটা সংবেদনশীল ক্ষেত্র। তাই গাইডলাইন মেনে কাজ করা হবে। তবে তথ্য আদান-প্রদানের পরিসর বাড়াতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
"পরিযায়ীদের দুর্দশা অসহনীয়! চোখে জল চলে আসে", কেন্দ্র-রাজ্যকে উপহাস মাদ্রাজ হাইকোর্টের
এদিকে বাড়ানো হল প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশী বিনিয়োগের সর্বাধিক মাত্রা। শনিবার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আগের ৪৯% থেকে বাড়িয়ে ৭৯% করা হল এফডিআই মাত্রা। জানা গিয়েছে; প্রতিরক্ষা খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এদিন নির্মলা সীতারমণ বলেছেন; "যে অস্ত্রগুলো ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি সম্ভব; সেগুলোর আমদানি বন্ধ করবে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটা তালিকা তৈরি করছে। সেই তালিকা মেনে আমদানিকৃত দেশকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আত্মনির্ভর ভারত গঠনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী ভূমিকা নেবে।"
তিনি আরও জানিয়েছেন; দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রগুলোর স্পেয়ার পার্টস তৈরি করবে দেশীয় সংস্থা। এই উদ্যোগ প্রতিরক্ষা আমদানি খরচ কমাবে।