Gangasagar Mela: গঙ্গসাগর এক অন্যভারতের মিনি সংস্করণ বলাই যায়
শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। বুধবার মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে পুণ্যস্নানে যাবতীয় গ্লানি কলুষ মুছে ফেলার বিশ্বাস নিয়ে সারা ভারত থেকে জড়ো হয়েছেন লাখো লাখো ভক্তরা। প্রতিবারই গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বিবিধ কর্মসূচি থাকেই সরকারের। এবার তেমনই গঙ্গসাগর মেলার ক্যাচ লাইন বলা যেতে পারে 'ক্লিন গঙ্গাসাগর'। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে গঙ্গাসাগর মেলায় বেশ কিছু ঘাটতি ছিলই যা প্রশাসনের নজর এড়ায়নি। এ বার সেই সব সমস্যা কীভাবে সরিয়ে রেখে সুষ্ঠু ভাবে মেলা সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে সচেষ্ট হয়েছেন জেলাশাসক। বারেবারেই সফল মেলা পরিচালনার লক্ষ্যে গঙ্গাসাগর মেলা কমিটির অফিসে সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা, পূর্ত দফতর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, ড্রেজিং কর্পোরেশন, জাতীয় সড়ক বিভাগ-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের বৈঠক চলেছে।
কেন্দ্র সরকার কুম্ভমেলার জন্য টাকা দেয়, কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার বেলায় দেয় না: মমতা
প্রসাশনিক সূত্রের খবর, গতবার গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত শৌচাগার একদিন ব্যবহার করার পরই আর কোনও পুণ্যার্থী দ্বিতীয় দিন ব্যবহার করতে পারেননি। প্রতিবারই পরিবেশ দূষণ সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে। জেলা প্রশাসন এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ টি স্থায়ী শৌচাগার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সকাল থেকে রাত গঙ্গসাগরের তীরে মোতায়েন রইবেন স্বেচ্ছাসেবকরা, থাকবেন পর্যাপ্ত সাফাইকর্মী। নদীপথে ভেসেল-সহ অন্য বিষয়ের উপর নজরদারি চালাতে বেশ কিছু ওয়াচ টাওয়ারও তৈরি হয়েছে। মেলায় ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া পুণ্যার্থীদের সাহায্য করতে হ্যাম রেডিওকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি রেডিও স্টেশনও নির্মিত হয়েছে। শুধু প্রশাসন নয় মেলা প্রাঙ্গণকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে Helo-ও। তাদের তরফে শুরু করা হয়েছে একটি অনলাইন ক্যাম্পেন। যার মাধ্যমে গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গণকে পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
গঙ্গাসাগর নিয়ে আরও সতর্ক হতে প্রশাসনকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
গঙ্গসাগর এক অন্যভারতের মিনি সংস্করণ বলাই যায়। কীসের আকর্ষণে তীর্থরাজের উদ্দ্যেশ্যে পাড়ি জমান ছত্তিশগড়ের যুবক, কেনই বা বিস্ময়ে হাতজোড় করে রাজস্থানের কিশোরী আউড়ে যান মন্ত্র, কীসের আশাতেই বা একপায়ে লাঠি নিয়ে মাদুরাই থেকে মকরস্নানে আসেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ— এর উত্তর মেলে না। ব্যাখ্যা মেলে না কাশ্মীরের কোনও বৃদ্ধার অঝোর কাঁদতে কাঁদতে গঙ্গায় ডুব দেওয়ারও। সারা ভারতের মানুষের প্রতিনিধিরা জড়ো হয়ে যেন সাগরসঙ্গমে গড়ে তোলেন অন্য এক ভারতবর্ষ। সনাতন ভারতের এ যেন এক নিটোল চিত্র। আর তার শিল্পীরা বিশ্বাসের চাকায় ভর করেই পাড়ি দেন সাগর, পেরিয়ে যান যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম।