Read in English
This Article is From Jun 30, 2020

স্ত্রী শাঁখা-সিঁদুর পরতে অস্বীকার করায় স্বামীকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিল আদালত!

এই স্বামী এবং স্ত্রী ২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছিলেন। তবে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই মহিলা থাকতে না চাইলে দু’জনের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। ফলস্বরূপ, ৩০ জুন, ২০১৩ সাল থেকে দুজন আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

পারিবারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন স্বামী

গুয়াহাটি:

হিন্দু রীতিনীতি অনুসারে বিবাহিত মহিলা ‘শাঁখা-সিঁদুর' পরতে অস্বীকার করছেন মানে তিনি এই বিয়েটিকে স্বীকার করছেন না। আর তাই একজন পুরুষের বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করল গুয়াহাটি হাইকোর্ট! ২০২০ সালে এসেও আদালতের এমন রায়কে হাস্যকর বলেই মনে করছে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বহু মানুষ। স্বামীর দায়ের করা বৈবাহিক আপিল বিষয়ে শুনানির পরে, প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা এবং বিচারপতি সৌমিত্র সাইকিয়া সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ পারিবারিক আদালতের একটি আদেশ স্থগিত করে। ওই আদেশে স্ত্রীর তরফে স্বামীর প্রতি কোনও নিষ্ঠুর ব্যবহার পাওয়া যায়নি এই কারণেই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ওই স্বামীর প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করা হয়। ওই ব্যক্তি পারিবারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন।

“...শাঁখা ও সিন্দুর পরতে স্বীকার না করলে ওই মহিলাকে অবিবাহিত মনে হবে এবং / অথবা আপিলকারীর (স্বামী) সঙ্গে তিনি এই বিয়ে টিকিয়ে রাখতেও অস্বীকার করছেন বলেই ইঙ্গিত দেয়। স্ত্রী'র এই ধরণের আচরণ তাঁর স্পষ্ট অভিপ্রায়কেই নির্দেশ করে যে তিনি আপিলকারীর সঙ্গে তার বিবাহিত জীবন চালিয়ে যেতে রাজি নন,” ১৯ জুনের রায়ে এমনটাই জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

এই স্বামী এবং স্ত্রী ২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছিলেন। তবে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ওই মহিলা থাকতে না চাইলে দু'জনের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। ফলস্বরূপ, ৩০ জুন, ২০১৩ সাল থেকে দুজন আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন।

Advertisement

ওই মহিলা তাঁর স্বামী এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে সেই অভিযোগ আদালতে টেকেনি বলেই বেঞ্চ জানিয়েছে।

আদালত নিজের আদেশে বলেছে, “স্বামী এবং / অথবা স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অসমর্থিত অভিযোগের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্টের অবমাননার সমান।"

Advertisement

বিচারকরা বলেছেন, এই মহিলা তাঁর বয়স্ক শাশুড়ির প্রতি তাঁর স্বামীর দায়িত্ব এবং বাবা-মায়ের ভরণপোষণ ও বর্ষীয়ান নাগরিক আইন, ২০০৭ এর বিধান অনুসারে তাঁর স্বামীকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজের আইনি দায়িত্ব পালন করতে বাধা দিয়েছেন, অথচ এই বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে পারিবারিক আদালত।

“এই জাতীয় প্রমাণ নিষ্ঠুর কাজ হিসাবে গণ্য করার পক্ষে যথেষ্ট,” বলা হয়েছে ওই আদেশে।

Advertisement