Read in English
This Article is From Jan 11, 2020

গৌরী লঙ্কেশ খুনে জড়িত সন্দেহে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার এক ব্যক্তি

Gauri Lankesh Case: গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল রাজেশ নামের ওই অভিযুক্ত, ছদ্মনাম নিয়ে গত আট মাস ধরে শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করছিল সে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Gauri Lankesh Murder: সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে তাঁর বাড়ির কাছেই গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী

Highlights

  • ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হল গৌরী লঙ্কেশ খুনে অভিযুক্ত ১ ব্যক্তিকে
  • ধানবাদে গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করছিলেন
  • তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ
ধানবাদ/বেঙ্গালুরু:

সমাজকর্মী তথা সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের (Gauri Lankesh Murder) প্রায় ২ বছর হতে চলল, এতদিন পর ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধানবাদের পুলিশ সুপার কিশোর কৌশল সাংবাদিকদের জানান, কর্ণাটকের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানবাদ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের কাটরাস শহর থেকে ঋষিকেশ দেবরিকর ওরফে রাজেশকে গ্রেফতার করেন। তিনি আরও জানান যে গত দেড়বছর ধরে গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ওই অভিযুক্ত, পরে ছদ্মনাম নিয়ে গত আট মাস ধরে শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করছিল সে। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়ির সামনে মৃ্ত্যু হয় সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের। এরপরেই ওই হত্যার ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঋষিকেশ দেবরিকর ওরফে রাজেশ অষ্টাদশ ব্যক্তি যাঁকে অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগেই গৌরী লঙ্কেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শার্প শ্যুটার পরশুরাম ওয়াঘমারেকে। তবে এখনও আরও এক অভিযুক্ত পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষ তদন্তকারী দলের কর্মীরা কাটরাসে রাজেশকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে স্থানীয় আদালতের কাছ থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে নেয়, তারপর সেখান থেকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে।

৫ বছর ধরে গৌরি লঙ্কেশকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

Advertisement

ইন্সপেক্টর পুনিত কুমারের নেতৃত্বে বেঙ্গালুরুর বিশেষ তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা রাজেশের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করেন।

ওদিকে যে পেট্রোল পাম্প থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই পাম্পের মালিক জানান, রাজেশ বেকার থাকার দাবি করে চাকরি চেয়ে ছিল। পাশাপাশি যার বাড়িতে সে তার আগে কেয়ারটেকারের চাকরি নিয়ে ছিল সেই শিল্পপতি প্রদীপ খেমনা জানিয়েছেন, গোয়াবাসী এক বন্ধুর সুপারিশে তিনি দেবরিকরকে বহাল করেছিলেন। তবে তাঁর অপরাধের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানতেন বলে দাবি খেমনার।

Advertisement

২০১০ সাল পর্যন্তও দেবরিকর সনাতন সংস্থার হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিল। ওয়েবসাইটের বেশ কিছু নিবন্ধে সনাতন সংস্থা ও হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির বৈঠকে তার উপস্থিতির কথা নথিবদ্ধ রয়েছে।

গৌরী লঙ্কেশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার এক স্বর্ণকার ও এক ধূপকাঠি প্রস্তুতকারক

Advertisement

কর্ণাটক সিটের মতে, ২০১১ সালে একটি ক্রাইম সিন্ডিকেট তৈরির সময়ে দেবরিকর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির কর্মী বীরেন্দ্র তাওয়াড়ে ওই সিন্ডিকেট তৈরির পিছনে ছিল। হিন্দু বিরোধী বলে যাদের মনে করা হবে, তাঁদের হত্যা করার জন্যেই ওই গোষ্ঠী তৈরি করা হয়।

২০১৩ সালে মহারাষ্ট্রের ৬৯ বছর বয়সী যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকর, ২০১৫ সালে ৮১ বছর বয়সী বামপন্থী চিন্তাবিদ গোবিন্দ পানসারে, এবং ২০১৫ সালে কন্নড় শিক্ষাবিদ এমএম কালবুর্গীকে হত্যার পিছনেও এই গোষ্ঠী যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement