This Article is From Jun 04, 2019

সমলিঙ্গে স্বীকৃতির ৫০-এ পা, উদযাপনে গুগল ডুডলস

Google Doodle: সমলিঙ্গে স্বীকৃতির ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপনে এই মাসকেই বেছে নিয়েছে গুগল। আজ সেই বিশেষ দিনের উদযাপন

সমলিঙ্গে স্বীকৃতির ৫০-এ পা, উদযাপনে গুগল ডুডলস

Google Doodle: সমলিঙ্গে স্বীকৃতির ৫০ বছর উদযাপনে গুগল ডুডলস

বিশ্বজুড়ে আজ উদযাপন সমলিঙ্গ স্বীকৃতির ৫০তম বার্ষিকী (fiftieth anniversary)। রাধা না হয়েও রাধা হওয়ার সমস্ত লক্ষ্মণ যাঁদের মধ্যে বর্তমান কিংবা বনমালী হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেও যাঁরা ব্যর্থ সেই সব সমকামীদের আজ সম্মান জানাল গুগল (Googl)। নয়া ডুডল (Doodle) তৈরি করে।  সম্মান জানাল সেই মানুষদের যাঁদের গে (gay), লেসবিয়ান (lesbian), ট্রান্সজেন্ডার (transgender) এবং উভকামীর (bisexual) তকমা দিয়ে ঘৃণায় দূরে সরিয়ে রেখেছিল সমাজ।  চলতি মাসটিকে তাঁদের উদ্দেশ্য উতসর্গ করল ডুডলার নেট সোয়াইনহার্ট। একই সঙ্গে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "নিউইয়র্ক সিটির ক্রিস্টোফার রোডে আজ বিশাল আকারে শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে।"

সংস্থার এক কর্মী সিনথিয়া চেঞ্জ প্রথমে একটি পার্কে নিজের ছবি এঁকেছিলেন। তারপর তা রঙে ভরিয়ে সমকামীতার পুরো বিষয়টিকে আস্তে আস্তে ওই ছবিতে রূপ দেন। সেই ছবি দেখে মুগ্ধ গুগল ডুডল (Google Doodle) তাঁকে সমকামীদের ওপর বিভিন্ন ধরণের ছবি আঁকার অনুমতি দেয়। যা পুরোটা কোলাজ করলে একটি সম্পূর্ণ রূপরেখা হয়ে দাঁড়াবে। আজকে নিউইয়র্কের শোভাযাত্রায় সেই কোলাজের প্রথম উদ্বোধন।

রঙের ক্ষেত্রে সিনথিয়ার মন্তব্য, এমন অনেক রঙ আছে যা সমকামীদের পক্ষ সমর্থন করে। যা এই বিশেষ ধরনের মানুষদের মানসিকতার সঙ্গে খাপ খায়। তাঁদের অনুভূতি, ভাবনার প্রকাশ ঘটায়। সেই সব রঙই গুগল ডুডলে (Google Doodle) ব্যবহারে করেছেন তিনি। সংস্থা কোনও আপত্তি জানায়নি তাঁকে।

সিনথিয়ার দাবি, "রঙ আমার ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। কারণ, আমি রঙের মাধ্যমে হৃদয়ের কম্পন, বেদনার ছায়া, আনন্দের ঔজ্জ্বল্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ছবিতে আমার রঙ যখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তখন প্রথমে মানুষ, তারপর চারপাশ হয়ে নগর এবং শেষে পুরো বৃত্ত সম্পূর্ণ করে। তাই আমার আঁকা গোলাপি ত্রিভুজ দিয়ে শুরু হয়েছিল। যা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মুক্তির প্রতীক। এছাড়াও, বেগুনি ও লাল রঙ রয়েছে আমার ছবিতে।

গুগলের আরেক কর্মী নেট (Nate) ২০১৪-য় গুগল ডুডলে কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সিনথিয়া গুগলের পাশাপাশি নাট্য জগতেও কাজ করতেন। তিনি বলেন, "গুগলের প্রথম পেজ খুলে আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছিলাম অনেকক্ষণ। মনে হয়েছিল, আমি যা চাই সেটাই তো গুগলের ডুডল বলছে। এখানে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ডুডলই অনুপ্রাণিত করেছে আমায়। " তিনি আরও বলেন, "বিশেষ করে ডুডলে (Doodle) উইন্টার অলিম্পিকস (Winter Olympics) সেলিব্রেশন, ফ্ল্যাগের উজ্জ্ব রং আমার চোখ টেনেছিল।"

এই মুহূর্তে নেট আশাবাদী যে ভবিষ্যতে গুগল ডুডল এরকম আরও ইতিবাচক চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে পারবে।

.