বিপিন রাওয়াত দাবি করেন, পাকিস্তানেও একই ব্যবস্থা রয়েছে।
নয়াদিল্লি: ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) বৃহস্পতিবার জানালেন, ‘‘সম্পূর্ণ মৌলবাদী মনোভাবাপন্ন'' হয়ে ওঠা কাশ্মীরি তরুণদের (Young Kashmiris) বিচ্ছিন্ন করে তাঁদের মৌলবাদ-বিরোধী শিবিরে (De-Radicalisation Camps) নিয়ে যেতে হবে। তিনি দাবি করলেন, পাকিস্তানও এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করে। নয়াদিল্লিতে ‘রাইসিনা ডায়ালগ ২০২০'-তে এসে তিনি বলেন, কাশ্মীরে ১০ থেকে ১২ বছরের ছোট ছেলেদের মৌলবাদী করে তোলা হচ্ছে। তিনি জানান, ‘‘এদের মৌলবাদের থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা তাও সম্ভব। কিন্তু এমন অনেকেই আছে, যারা পুরোপুরি মৌলবাদী হয়ে উঠেছে।''
তাঁর মতে, ‘‘তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা দরকার। সম্ভব হলে কোনও মৌলবাদ-বিরোধী শিবিরে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশে এই ধরনের শিবির রয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, পাকিস্তানেও একই ব্যবস্থা রয়েছে। ওরা বুঝতে পেরেছে। ওদের মদতে গড়ে ওঠা অনেক সন্ত্রাসবাদী দল তাদেরই পাল্টা আঘাত করেছে।''
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রতিহত বড় জঙ্গি হানা, জানাল জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ
তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি সঠিক ব্যক্তিদের দিকে লক্ষ্য রাখতে পারি, তাহলে অনলাইনে মৌলবাদের গড়ে ওঠাকে আটকানো সম্ভব।''
২০১৬ সালে জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে কাশ্মীরে তরুণদের মধ্যে মৌলবাদী হয়ে ওঠার প্রবণতা প্রচণ্ড হারে বেড়ে যায়। পরবর্তী ছয় মাসে সেখানে পাথর ছুঁড়ে প্রতিবাদের বহু ঘটনা ঘটে। একেবারে সদ্য তরুণদের তাতে অংশ নিতে দেখা যায়।
‘‘নিন্দনীয়'': চিনের সাহায্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর ইস্যু তোলার পাক প্রচেষ্টার নিন্দা সরকারের
পরবর্তী সময়ে পুলওয়ামা, কুলগাম, শোপিয়ান ও অনন্তনাগ মৌলবাদীদের চারণভূমি হয়ে ওঠে।
গত আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর সরকার সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোনও রকম বিদ্রোহ যাতে মাথাচাড়া না দিতে পারে সেজন্য।