"ইভিএমে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য বোতাম না টিপলেই খেতে হবে কারেন্ট শক"!
কোরার, ছত্তিশগড়: ইভিএমে কংগ্রেস প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনও প্রার্থীকে ভোট দিলে খেতে হবে 'বৈদ্যুতিক শক'! ছত্তিশগড়ের এক মন্ত্রী এমন কথাই বলেছিলেন ভোটারদের। ক্যামেরায় তা দেখাও গিয়েছিল। সেই মন্ত্রী, কাওয়াসি লাখমার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করল নির্বাচন কমিশন। ক্যামেরার সামনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "বীরেশ ঠাকুরকে ভোট দিতে গেলে প্রথম বোতামটা টিপতে হবে। দ্বিতীয় বোতাম টিপতে গেলেই কিন্তু কারেন্টের শক মারবে। তৃতীয় বোতাম টিপলেও বৈদ্যুতিক শক খেতে হবে। তবে, প্রথম বোতামের জন্য চিন্তা নেই। ওটা আমরা আগে থেকেই ঠিকঠাক করে রেখেছি"। একাধিকবার এমন কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। মঙ্গলবার কাঙ্কের জেলার একটি জনসভা থেকে এই কথা বলেন মন্ত্রীমশাই। তাঁর কথায় হাস্যরোল ওঠে দর্শকাসন থেকেও।
পাঁচবারের এই বিধায়ক ছত্তিশগড়ের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী।
প্রিয়াঙ্কাকে ‘চোরের বৌ' বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী
তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। ছত্তিশগড়ের এই মন্ত্রীকে তিনদিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। সাতটি দফার লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট দেবে কাঙ্কের। বৃহস্পতিবার। এই রাজ্যের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত দফার ভোটগ্রহণ পর্ব হবে ২৩ এপ্রিল।
এর আগে, দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে বিতর্ক বাঁধালেন গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক রমেশ কাতরা। তিনি বলেন, বুথে মোদিজি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছেন। কে কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছে তা সহজেই জানা যাবে। দাহোদ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী যশোবন্ত শাহ-র হয়ে প্রচার করতে গিয়ে রমেশ বলেন, "আপনারা ইভিএমে বিজেপি প্রার্থীর ছবি দেখবেন। আর বোতাম টিপবেন। ভুল হওয়ার কোনও জায়গা নেই। মনে রাখবেন মোদি সাহেব বুথে সিসিটিভি বসিয়েছেন। তা থেকেই দেখা যাবে কে কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছে আর কে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে। আপনাদের বুথ থেকে কম ভোট পড়লেই মোদিজি বুঝতে পেরে যাবেন কার ভোট কোথায় গিয়েছে। আর কম ভোট পড়লে চাকরি পাবেন না"।
উত্তরপ্রদেশে সুলতানপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। মুসলমান সম্প্রদায়ের ভোটারদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন তাঁকে ভোট না দিলে তিনি হয়ত তাঁদের অনুরোধ রাখতে পারবেন না। তাঁর কথায় , "আমি ইতিমধ্যেই নির্বাচনে জিতে গিয়েছি এখন আপনারা কী করবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার"। মন্ত্রীর মিনিট তিনেকের ভাষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।