This Article is From Jun 03, 2020

৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড! কবিতায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ অভিনেতা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নিজের লেখা কবিতার মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিতার নাম ট্রোজান হর্স, ৮ মিনিট, ৪৬ সেকেন্ড!

৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড! কবিতায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ অভিনেতা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সময় আর সভ্যতা দুই এগিয়েছে বলে দাবি মানুষের। অথচ পদে পদেই পিছনের দিকে এগিয়ে চলার নিদর্শন। বর্বরতা, ঘৃণা আর অমানবিকতার নজির ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে আমেরিকা সর্বত্র সমান। আমেরিকা এখন উত্তাল বিক্ষোভ-আন্দোলনে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে জ্বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। লাগাতার বিক্ষোভ চলছে হোয়াট হাউজের সামনেও। বিক্ষোভের আঁচ এদেশেও। বর্ণবৈষম্য বা বিদ্বেষ, যে নামেই ডাকা হোক না কেন.... খোলস পালটে পালটে সমস্যা যে রয়েই গিয়েছে বা রয়েই যাবে বিশ্বে, এই গ্লানি ছুঁয়েছে সমস্ত সংবেদনশীল মানুষকেই। প্রতিবাদের ভাষা কোথাও গান, প্রতিবাদের ভাষা কোথাও কবিতা। নিজের লেখা কবিতার মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিতার নাম ট্রোজান হর্স, ৮ মিনিট, ৪৬ সেকেন্ড!

আসলে ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরেই নিজের হাঁটু দিয়ে জর্জের মাথা চেপে রেখেছিলেন মার্কিন ওই পুলিশকর্মী। নিজের লেখা কবিতাটি পাঠ করে ফেসবুকে আপলোডও করেছেন অনিন্দ্য। কবিতার ভাষা ইংরাজি, তবে বক্তব্যের ভাষা তীক্ষ্ণ, বক্তব্যের ধার আন্তর্জাতিক। “Your eyes fly like flies/ Your blood flies like swarms of fly.../ Your dreams fly like a dead man...” কবিতা যত এগিয়েছে ততই গাঢ় হয়েছে পাঠ, ততই নতুন করে পাঠক তথা শ্রোতাদের এক দ্বন্দ্বের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছেন অনিন্দ্য। কোথাও আবার প্রশ্নগুলো যেন হাওয়ায় ভাসছে, “And how many deaths will it take 'til he knows
That too many people have died?”

রইল অভিনেতা অনিন্দ্যর কবিতা;

২৫ মে হ্যান্ডকাফ পরা ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে থাকেন ডেরেক শভিন নামের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশের এমন বর্বর অত্যাচারের ঘটনা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেই সারা দেশ তথা বিশ্ব বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

সূত্রের খবর, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। জর্জের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়।

.