বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল আমেরিকা। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- "আই কান্ট ব্রিথ" আন্দোলনে উত্তাল ইউএস
- কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদে সরব মানুষ
- সহরজুরে চলেছে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা
নয়া দিল্লি: কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় (Black Man Killing in US) উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা বলয় টপকে নিউ ইয়র্কের (Protest in New York) বার্কলে সেন্টারে প্রতিবাদীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মিনিয়াপোলিশে জর্জ ফ্লোয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার অভিযোগ ঘিরে ঘটনার সুত্রপাত। অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশকর্মী তাঁর পা দিয়ে পিষে মেরেছেন জর্জকে। এই নৃশংসতা ও বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয় মিনিয়াপোলিশে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা মার্কিন মুলুকে। ব্যাপক ভাবে চলেছে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। আলজাজিরা সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘণ্টায় শুধুমাত্র ব্রুকলিন থেকে দলে দলে প্রতিবাদীদের গ্রেফতার করে পুলিশ বাসে তুলেছে আটলান্টিক পুলিশ। বন্ধ রাখা হয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এদিন নিউ ইয়র্কে দেখা গিয়েছে, রায়ট গিয়ারে থাকা পুলিশকর্মীদের প্রতিবাদীদের সঙ্গে বচসায় জড়াতে। প্রশাসনিক তরফে আবেদন করা হয়েছে, নিজের শহরে ভাঙচুর চালানো কোনও সমস্যার সমাধান নয়। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বশুন। সেই আবেদনে কর্ণপাত না করেই চলছে বিক্ষোভ। প্রতিবাদ দমনে টিয়ার গ্যাস ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছেম "উই কান্ট ব্রিথ" ব্যানারে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রতিবাদ। এই বিক্ষোভ থেকে দাবি উঠেছে অবিলম্বে পুলিশি অতিসক্রিয়তা রুখতে আইনে বদল আনুক মার্কিন সেনেট।এর আগেও ম্যানহাটনে ২০১৪ সালে একইভাবে এরিক গার্নার নামে এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করা হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ প্রতিবাদীদের।
যদিও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির পক্ষে সওয়াল করেছে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কন্যা বার্নিস কিং। "আসুন আমরা সবাই অহিংস পথে এই বিদ্বেষ দানবকে হত্যা করি।" শনিবার আবেদন করেন বার্নিস কিং। ১৯৬৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রবল বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হত্যা করা হয়েছিল লুথার কিং জুনিয়রকে।