আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে ওই পড়ুুয়াকে।
চেন্নাই: আইআইটি মাদ্রাজের (IIT Madras) এক জার্মান পড়ুয়া (German IIT Madras Student) নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act) বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ উঠল। আইআইটি চত্বর ও চেন্নাইয়ের বিভিন্ন অংশে হওয়া আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল ওই স্নাতকোত্তর পড়ুয়া জ্যাকব লিন্ডেথাল। সোমবার তাঁকে ফেরত পাঠানো হয় আমস্টারডামে। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তাঁকে চেন্নাইয়ে বিদেশি নাম নথিভুক্তকরণের স্থানীয় দফতরের তরফে দেশ ছাড়ার মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে প্রকাশিত নানা ছবিতে আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায় ২৪ বছরের তরুণকে। নানা প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁকে দেখা যায়।
তাঁকে বলা হয়, ওই সব বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়া তাঁর ভিসার শর্তাবলির পরিপন্থী। তাঁকে দ্রুত দেশ ছাড়তে হবে।
‘‘ধন্যবাদ, কিন্তু...'': এনআরসি নিয়ে রাহুল গান্ধিকে টুইট প্রশান্ত কিশোরের
জার্মানির ড্রেসডেন থেকে এদেশে পড়তে এসেছিলেন জ্যাকব। এটা এখনও পরিষ্কার নয় আইআইটি মাদ্রাজ নাকি কেন্দ্রীয় সরকার, কারা জ্যাকবকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে আইআইটি মাদ্রাজের পড়ুয়ারা। NDTV-র তরফে আইআইটি মাদ্রাজের কাছে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তারা কোনও উত্তর দেয়নি।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলল নেতাজির পরিবারও! টুইট বিজেপি নেতা চন্দ্র বসুর
কেবল ছাত্রছাত্রীরাই নয়, রাজনৈতিক নেতারাও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট করে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, এক গর্বিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত ভারত। কোনও গণতন্ত্রই বাক স্বাধীনতাকে শাস্তি দেয় না। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ জানান, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ব্যাপারে।
দেশজুড়ে গত কিছুদিন ধরেই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আন্দোলন। নতুন নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা এই আইন ও এনআরসির যৌথ প্রয়োগে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদের এই দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে হতে পারে।
বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে এই নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে।