লকডাউনের মধ্যে গুড্ডুর এই সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি নেওয়া।
গাজিয়াবাদ: ছিল বিড়াল হয়ে গেল রুমাল! থুরি ছিল সব্জি হয়ে গেল বউ! গাজিয়াবাদের গুড্ডুর কীর্তি দেখে এখন এই প্রবাদ বলছেন সেই যুবকের পড়শিরা। জানা গিয়েছে, শহরের সাহিবাবাদ এলাকার গুড্ডু (A Ghaziabad Youth) বুধবার সব্জি কিনতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি যখন ফিরলেন তখন সঙ্গে নতুন বউ! সূত্রের খবর, যেহেতু লকডাউন (Amid Lockdown) চলছে, তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেরনো নিষেধ। তাই সব্জি কেনার অছিলায় বেরিয়ে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি (Returned home with bride)। ছেলের এই কীর্তি দেখে যারপরনাই বিস্মিত গুড্ডুর মা। যদিও ছেলে ও ছেলের বউকে অস্বীকার করেন সেই বৃদ্ধা। বরণ করে ঘরে তোলা তো দূর অস্ত, ঘরে পর্যন্ত ঢুকতে দেখা হয়নি সস্ত্রীক গুড্ডুকে। পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন সেই বৃদ্ধা। তিনি পুলিশকে বলেন, "আমি ছেলেকে সব্জি আনতে বলেছিলাম, কিন্তু ও নতুন বউ নিয়ে ফিরেছে। আমি এই বিয়ে মানি না।" একই কথা সেই বৃদ্ধা জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে দু'মাস আগে হরদ্বারের আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন গুড্ডু আর সবিতা। কিন্তু তারপরেই শুরু হয়ে যায় সংক্রমণ পর্ব। তাই এই দম্পতির আশা ছিল লকডাউন মিটলে তাঁরা ম্যারেজ সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। বিয়ের সময় তাঁরা সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারেননি। কারণ হিসেবে গুড্ডু বলেন, "সেই সময় সাক্ষীর অভাবে আমাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। এরপর আমি আরও একবার হরদ্বার যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়াতে আর যাওয়া হয়নি।"
তাহলে সব্জি কিনতে বেরিয়ে হঠাৎ বউ নিয়ে ফিরলেন কেন? এই প্রশ্নের জবাবে গুড্ডু বলেছেন, "আমার স্ত্রী সবিতা দিল্লির যে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক তাঁকে ঘর ছাড়তে নিদান দিয়েছিলেন। তারপর থেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন সবিতা। তাই আমি বাজার কিনতে বেরিয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি সবিতাকে মায়ের কাছে নিয়ে আসবো।" এদিকে, সব ঘটনা শুনে গাজিয়াবাদ পুলিশ সবিতার বাড়ির মালিককে অনুরোধ করেছে, অন্তত লকডাউন চলা পর্যন্ত যাতে থাকতে দেওয়া হয় গুড্ডুর স্ত্রীকে। .