এর আগে শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন পড়ুয়া ভর্তি হোক প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই
ফের সেই অচলাবস্থার নাগপাশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ! ফের ফিরল সেই ঘেরাও সংষ্কৃতি। কলা বিভাগের 6 টি বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল হওয়াতেই শুরু হল বিক্ষোভ। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয় বাংলা, ইংরাজি, তুলনামূলক সাহিত্য, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং দর্শনে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে না। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই হবে ভর্তি । গত সপ্তাহে বলা হয়েছিল ঠিক উল্টোটা। এত দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল করায় ক্ষুব্ধ বর্তমান পড়ুয়ারা। আর তাই নতুন করে অশান্ত যাদবপুর। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে বিশবিদ্যালয়। এই দাবিকে সামনে রেখেই বুধবার সন্ধ্যা 6 টা নাগাদ শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
কলা বিভাগের পড়ুয়াদের বিক্ষোভে নতুন করে উত্তাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন পড়ুয়াদের ক্ষোভের কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ' আমদের 20 ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আটকে থাকতে হচ্ছে। কিন্ত পড়ুয়ারা বুঝতে পারছে না এই সিদ্ধান্ত কর্মসমিতির। আমি সেটা মানতে বাধ্য। ' তবে যাই হোক না কেন পুলিশ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেন,' আটকে থাকতে হচ্ছে বলে চিকিৎসকের পরামর্শ মানতে পারছি না। কিন্ত আমি কখনই পুলিশ ডাকব না । পড়ুয়ারা কেন এমনটা করছে সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করব। একটা জিনিস বুঝতে পারছি না ওরা আদালতে না গিয়ে ঘেরাও করছে কেন?' শুধু তাই নয় বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়া উপাচার্য দাবি করেছেন এই সমস্ত হচ্ছে বলে তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছেন না।
জানা গিয়েছে গতকাল মোট দু'বার তিনি ক্যাম্পাস ছাড়ার চেষ্টা করেন, কিন্ত পারেননি। উপাচার্যের দাবিকে খারিজ করেছেন আর্টস ফেকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের চেয়ারপার্সন সোমশ্রী চৌধুরি। তিনি বলেন, বার বার সিদ্ধান্ত বদল করে বিশ্ববিদ্যালয় 17,000 পড়ুয়ার ভবিষৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে। এসব মেনে নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমরা আমাদের অবস্থান চালিয়ে যাব। তাঁর মতে শিক্ষামন্ত্র্রীর দাবিকে মান্যতা দিতেই করা হয়েছে এমনটা। আন্দোলনের পাশে আছে শিক্ষক সংগঠন জুটাও। সংগঠনের মুখপাত্র বলেছেন, শুধু নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নিলে মানের সঙ্গে সমঝোতা করা হবে। আর সেটা কখনই কাম্য নয়। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন পড়ুয়া ভর্তি হোক প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই । বিক্ষোভ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীও। বুধবারই তিনি বলেন , 'সরকার মনে করে সব বিষয়ে ভর্তির একটাই প্রক্রিয়া হয় উচিত। কিন্ত এ ব্যাপারে যা করার করবে বিশ্ববিদ্যালয়। গতমাসেও ঠিক একই কারণে 44 ঘন্টা ঘেরাও হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)