বিহারের নাওয়াদায় গ্রেফতরা হওয়া হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেন গিরিরাজ
হাইলাইটস
- বিহরের নাওদায় গিয়ে দাঙ্গায় অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করলেন মন্ত্রী
- বললেন ওঁরা সবসময় শান্তি বজায় রাখে
- এর আগে বিতর্কে জড়ান আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা
পাটনা: বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। দাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সঙ্গে নাওয়াদার জেলে গিয়ে দেখা করলেন গিরিরাজ। মাত্র কয়েকদিন আগে ঠিক এভাবেই বিতর্কে জড়ান আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা। ঝাড়খণ্ডে এক গো মাংস ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আট ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর হাসি মুখে তোলা ছবি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায় তিনি ওই ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই বিতর্ক বাড়লেন মোদী মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য।
জেলবন্দিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও শনিবার দেখা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শুধু দেখা করে নয় কার্যত অভিযুক্তদের হয়ে সওয়ালও করেছেন তিনি। তাঁর কথায় ' ওঁরা কখনও কোনও অশান্তির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন না, সবসময় শান্তি বজায় রাখতে কাজ করে এসেছেন। তাই এ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত রাজ্য প্ৰশাসনের।
রামনবমীর মিছিলের পর অশান্ত হয় বিহার। সে সময় বজরং দলের জিতেন্দ্র প্রতাপ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কৈলাশ বিশ্বকর্মার নাম অভিযোগ দায়ের হয়। দিন চারেক আগে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। হিন্দু সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতারির পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। আক্রমণ শানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তাঁর কথায় , ' সরকার বোধহয় মনে করে শুধু হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। এই মানসিকতা বদলের প্রয়োজন রয়েছে। ' গত সপ্তাহে বিতর্কে জড়ান জয়ন্ত সিনহা। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি ছবি। তাতে দেখা যায় ,আটজন ব্যক্তিকে মালা পরিয়ে দিচ্ছেন জয়ন্ত। তারা সকলেই এক গো মাংস ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় সাজা পেয়েছেন।
রাজ আর নীতীশ কুমারের সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। কয়েকমাস আগে একটি বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে যায় বিরোধী দল আরজেডি। তখন গিরিরাজ বলেছিলেন যে এবার ওই এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হবে। ওই মন্তব্য খারিজ করেন নীতিশ। এবারও নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় বৈঠকে তিনি বলেন , ' দুর্নীতি থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর মতো ঘটনাকে লঘু করে দেখার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বিহার সরকার অপরাধীকে আড়াল করার পক্ষে নয়। ' দুই নেতার মধ্যে এমন সম্পর্কের অন্য একটি রাজনৈতিক কারণ আছে। মাস খানেক আগে নীতীশের দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে গিরিরাজ তাঁকে বিহারে এনডিএ -র মুখ করার পরামর্শ দেন। পাল্টা জেডিইউ জানিয়ে দেয় বিহারের ক্ষেত্রে এনডিএ-র হয়ে শেষ কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীই।